নেত্রকোণায় ইউপির উপনির্বাচনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের উপ নির্বাচনে সরকার দলীয় লোকদের ওপর দৃবৃর্ত্তদের হামলায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ওই ইউনিয়নের বালি-মহিষাটি গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ চন্দন মিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। পরে ওই বাড়িতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, প্রশান্ত কুমার রায়, নূর খান মিঠু, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মজিবুল আলম ফারাস হীরা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল মিয়া প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৫ মে নেত্রকোণা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। শ্রীপুর-বালী মহিষাটি দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে বেলা পৌনে ১টার দিকে ভোটারদের স্লিপ সরবরাহ করাকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। পরে আবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা অসীম বিশ্বাসসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ চন্দন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় দুবৃর্ত্তরা। হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।

ওইদিন সন্ধ্যায় ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোছা হোসনে আরা বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। তার স্বাক্ষর করা ফলাফলে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন রানা (ঢোল প্রতীকের) ৩ হাজার ৩শ ৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৮শ ৭৯ ভোট। এ নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ সেলিমের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।