আটপাড়ায় চালককে খুন করে অটো ছিনতাই ৩ আসামী র‌্যাবের হাতে ধরা

স্টাফ রির্পোটার. চালককে খুন করে ছিনতাই করা হয় অটোরিক্সা। খুনের পর ছিনতাই করা অটোরিক্সা বিক্রি করা হয় ৩ জনের কাছে। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামীদের। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামীরা ধরা পরে র‌্যাব-১৪ জালে।

র‌্যাবের সূত্র জানায়, নেত্রকোণার আটপাড়ায় গত ৭ মার্চ সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের সুলতু মিয়ার ডোবা জমিতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটির সনাক্ত করে নান্দাইল উপজেলার নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া (৩৬)। খুন হওয়া ব্যক্তি পাশ^বর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সুনদাইল গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে মোঃ কাইয়ুম (২৯)। তিনি পেশায় অটোরিক্সাচালক ছিলেন। লাশ সনাক্তের পর নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতন আসামীদের বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব সূত্র আরো জানায়, গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে দশটায় অটোরিক্সাচালক কাইয়ুম (২৯) অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ী হতে বের হয়। পরবর্তীতে ওই দিন আর বাড়ীতে আর ফিরে আসেনি। পরে তার পরিবারের লোকজন খোজাঁখুজি শুরু করে। নিখোঁজের চার দিন পর নেত্রকোনা জেলায় আটপাড়ায় তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। আসামীরা অটোরিক্সাটি ছিনতাই করতে কাইয়ুমকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে গত ৯ মার্চ বিকেল চারটার দিকে জেলার কেন্দুয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানায়, সে সহ আরো ২/৩ জন কাইয়ুম (২৯)কে আটপাড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ছিনতাই করা অটোরিকশাটি আসামী মোঃ বাবুল মিয়াসহ খুনের সাথে জড়িতরা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এলাকার মোঃ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন মিয়া (২৯)এর কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পরে ইয়াসিন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভাটিলালপুর গ্রামের সুমন মিয়ার ছেলে মোঃ ফাজিল মিয়া (৩৫) এর কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফাজিল মিয়া একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মহাজ উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (৩৩) এর কাছে ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

আসামী মোঃ বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে মোঃ নিজাম উদ্দিনের ছেলে আসামী ইয়াছিন মিয়া(২৯)কে এবং একই জেলার জামালগঞ্জ থেকে মহাজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আমির হোসেন (৩২) কে গ্রেফতার করে। পরে আমির হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে একই উপজেলার কিবরিয়ার দোকান থেকে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, র‌্যাব-১৪ গ্রেফতারকৃত আসামীদের আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করেছে। আসামীদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।