মদনে বিদ্রোহীকে সম্পাদক করায় মানববন্ধন,সড়ক অবরোধ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সকাল এগারোটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা পৌরসদরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ফৌজদার গাঙ্গুলী, পৌর যুবলীগের আহব্বায়ক নূরুল ইসলাম খান, যুবলীগ নেতা সুমন খান, ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ খান বাপ্পি, সাদ্দাম হোসেন, পিপুল মিয়াসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর মদন পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন আব্দুল হান্নান তালকদার শামীম। এর পরবর্তী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীমকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি নৌকার বিদ্রোহী হওয়ায় স্থানীয়দের প্রতিবাদ করলে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিক পত্রে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া অভিযোগ তোলা হয়। গত ১১ অক্টোবর মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীমের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দলের বিদ্রোহীকে অব্যাহতি দিয়ে মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাকে সাধারণ সম্পাদক করার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল বাশার খান বলেন, ‘বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে আমি স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্যাতন ও হামলা মামলার শিকার হয়ে নির্যাতিত হয়ে আসছি। ওই সময় আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। এসব বিষয় মূল্যায়ন না করে ত্যাগী ও পরীক্ষিতি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলের বিদ্রোহীদের দিয়ে কমিটি করায় তৃণমূলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যা ভবিষ্যতে আন্দোলন সংগ্রামে প্রভাব পরবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।