কেন্দুয়ায় ইজিবাইক চালককে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ

বিশেষ প্রতিনিধি: রাস্তায় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণার কেন্দুয়ার চেংজানা এলাকার ইজিবাইক চালক এলমান হোসেন ওরফে বাবুকে (২২) হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দুয়া-ময়মনসিংহ সড়কের সাহিতপুর বাজার এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা কিছুক্ষণ রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে রাখেন। এতে করে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত করেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁঞা, সাহিতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তারা মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়না মিয়া, নারী নেত্রী পুষ্প আক্তার, নিহতের মা নাজমা আক্তার, বাবা শাহিন মিয়া প্রমুখ।


স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই দুপুরে সাহিতপুর বাজার মোড়ে এলমান হোসেন তাঁর ইজিবাইক নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় পাশ্ববর্তী আটিগ্রামের রকন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৩) বাইসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কাটাকাটির এক পযায়ে ও হাতা-হাতি হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের থামিয়ে দেয়। ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ পর বিকেলে মাসকা বাজারে সুমন তাঁর সহযোগী শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া, রানা মিয়া, মাসুদ মিয়া, অভি মিয়া, বাদল মিয়াসহ বেশ কয়েজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলমান হোসেনের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় এখলাছ মিয়া ও শফিক বাঁধা দিতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত এলমান ও এখলাছকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এলমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এখলাছ মিয়া এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হত্যা ঘটনার তিন দিন পর নিহতের বাবা শাহিন মিয়া বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখন পযন্ত একজন আসামি ছাড়া আর কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আর গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সুমন মিয়াকেও ঘটনার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহিতপুর বাজারে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহ নেওয়াজ সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হন। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস প্রদান করে বক্তব্য দেন। ওসি বলেন, ‘প্রকাশ্যে জঘন্যতম ও নৃশংস এই হত্যা ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবোর্চ্চ শাস্তি হউক, আমরাও একমত। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।