নেত্রকোণায় গণটিকা পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় চাহিদার তুলনায় টিকা কম থাকায় বেশির ভাগ মানুষ টিকা নিতে এসে ফিরে গেছেন। জেলার ৮৬ টি ইউনিয়ন ও ৫ টি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারীদের মাঝে টিকা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকালে সাড়ে নয়টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, টিকা গ্রহিতার চেয়ে টিকা না পাওয়া লোকজনের সংখ্যাই বেশি। তবে টিকা নিতে গ্রামের কৃষক,গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২টায় নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের পাবই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। তিনি টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম, সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা সেতুসহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে শনিরবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের মোক্তাল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েলসহ সরকারী কর্মকর্তাগণ।
সদরের আমতলা ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলী (৭২) সিদ্দিকুর রহামন (৬৮) ইয়াসমিন আক্তার (৪৭) বেলা বারোটার দিকে আমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে না পেরে বলেন, ‘আমরা রিজিষ্ট্রেশন করেছে, কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে টিকা পাই নাই। কবে পাব এটাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। তাই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছি।’
নেত্রকোণা সদরের আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল্লাহ বলেন, আমার ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে প্রায় ২৩ শ ভোটার রয়েছে। সরকারী নির্দেশনা মতে, সবাই টিকা পাওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু মাত্র ৬শ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পরিষদ থেকে টিকার জন্য ৭শ এবং বাইরে থেকেও রেজিষ্ট্রেশন করেছে টিকা নেওয়ার জন্য। কিন্তÍ মাত্র ৬শ টিকা দেয়া হয়েছে। অনেক লোকজন টিকা কার্ড নিয়ে ঘুরে গেছে।
জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বলেন, রায়পুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে ৬ শ টিকা দেয়া হয়েছে। অনেক লোকজন টিকা নিতে এসে ঘুরে গেছে। দুপুর বারোটার মধ্যে কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, ‘সারা জেলার প্রায় চব্বিশ লক্ষ মানুষের ৮৬ টি ইউনিয়নে ৫৪ হাজার টিকা প্রদান করার কথা রয়েছে। মোট ৯৮ টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হয়। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৩ জন ভলান্টিয়ারসহ ১৫ জন নিযুক্ত ছিল। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কেউ অসুস্থ হতে শোনা যায়নি। যারা বাদ পড়েছেন তাদের ১৪ তারিখ দেয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।