কেন্দুয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে  আহত ৬০, পুলিশের  ফাঁকাগুলি,টিয়ারসেল নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় সমিতিতে আধিপত্য বিস্তার ও সমিতির টাকা নিয়ে বিরোধে জের ধরে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাকাগুলি বর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার চিরাং ইউনিয়নে বাট্টা চংনোয়াগাঁও গ্রামে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দফায় দফায় তা চলে বেলা ৩টা নাগাদ।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাকাগুলি এবং ৬ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে। আহতের মাঝে সুলেমান (৩০), বকুল মিয়া (২৫), শহিদুল্লাহ (৪২), আবুল কাশেস (৫২), মিরন (৩০), উসমান (৫০), আবুল (৫৫), তাহের উদ্দিন (৪০) এবং কাইয়ুম (৫০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা চংনোয়াগাঁও গ্রামে খাস খতিয়ানের জায়গা চংনোয়াগাও গ্রাম উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে লীজ এনে তাতে চাষাবাদ করা হয়। এভাবে সমিতি লাভবান হয়ে  আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে।  কিছুদিন ধরে গ্রামের নামে থাকা সমিতিটিতে আধিপত্ত্য বিস্তার এবং সমিতির টাকা নিয়ে চংনোয়াগাঁও গ্রামে সুরুজ খানের ছেলে মজনু মিয়া এবং একই গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে মামুনুর রশিদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। এরেই জেরে মঙ্গলবার  উভয় পক্ষের দুইশ’র মত মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান ।  পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানা পুলিশ,পাশ্ববর্তী মদন থানা পুলিশ এবং নেত্রকোণা পুলিশ লাইনের একদল অতিরিক্ত পুলিশ এসে যৌথভাবে কাজ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সিনিয়র পুলিশ সুপার কেন্দুয়া সার্কেল জুনায়েদ আফ্রাদ, কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ, কেন্দুয়ার ইউএনও মঈনউদ্দিন খন্দকার, এসিল্যান্ড খবিরুল আহসান প্রমুখ সংঘর্ষ স্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।