বঙ্গবন্ধু এ মাটির সন্তান বলেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি-সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভূমির সন্তান বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের আছে লাল সবুজের অনন্য পতাকা। আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি এসব কথা বলেন।
জেলা পাবলিক হলে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি।
প্রথম প্রহরে মোক্তারপাড়া ব্রীজের পার্শে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা স্থলে কেক কেটে ও শহীদ মিনারের সামনের সড়কে ১০০ মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনি এবং সকল সরকারী আধা-সরকারী স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় মোক্তারপাড়া মাঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাবলিক হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন করা হয় নেত্রকোনা-২(সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার নুরুল আমিন, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু ও জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক আলাল উদ্দিন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত ও প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক এবং এসিডদদ্ধ ৪০৭ জনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। বাদ জোহর মসজিদ, মন্দির গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টায় এতিমখানা, জেলখানা ও হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের খাবার বিতরণ, রাত ৮টায় মোক্তাপাড়া মাঠে বর্ণিল আতসবাজি অনুষ্ঠিত হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।