ময়মনসিংহে ট্রলি ব্যাগে পাওয়া লাশের রহস্য উদঘাটন করল ডিবি গ্রেফতার ৪

দেলোয়ার হোসেন,ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের কাছে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া হাত-পা ও মুণ্ডুহীন মরদেহ। একইদিন ও পরদিন কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট থেকে উদ্ধার হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, একটি পা ও মাথা। এরপরই ঘটনাটি নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্যের।

এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর ন্যাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহ আবিদ হোসেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তর বর্ণনা দেন জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহ আবিদ হোসেন।

জানা যায় মামলাটি তদন্তকালে কুড়িগ্রামে খণ্ডিত দেহাংশের সঙ্গে নারীদের হাতব্যাগে পাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ময়মনসিংহ ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল।
মামলার তিনদিনের মাথায়ই গত ২৮ অক্টোবর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ চারজনকে আটক করে ডিবি। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে লােমহর্ষক হত্যাকান্ডের রহস্য ও মরদেহের পরিচয়৷ বোনকে উত্ত্যক্ত করার করার কারণেই ঘটেছে ঘটেছে এ হত্যাকাণ্ড এমনটি জানিয়েছে পুলিশ।

খুন হওয়া যুবকের নাম মো. বকুল (২৮)। সে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হল- ফারুক মিয়া (২৭), তার ভাই হৃদয় মিয়া (২২), বোন সাবিনা আক্তার (২০) ফারুকের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৩)।

পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে মরদেহের পরিচয় গোপন করতে ও পুলিশ থেকে বাঁচতেই মরদেহটি টুকরা টুকরা করে পৃথক স্থানে ফেলেছিল তারা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।