খালিয়াজুরীতে বিদ্যালয় বন্ধ: ফেইসবুকে অভিভাবকের স্ট্যাটাস

খালিয়াজুরী প্রতিনিধি: খোলার দিনেও খালিয়াজুরী উপজেলা সদর ইউনিয়নের গছিখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তালা বন্ধ থাকায় ওই গ্রামের ছাত্র অভিভাবক মোঃ জামাল মিয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শনিবার (১২অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ সময় বিদ্যালয়টি তালাবন্ধ অবস্থায় পান তিনি। বিদ্যালয়টির সামনে অনেক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও কোন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। এসময় তালাবন্ধ বিদ্যালয়টির ছবি তোলেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোঃ জামাল মিয়া। জামাল মিয়ার তিন ছেলে এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। বড় ছেলে অনিক ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র,প্লাবন ২য় শ্রেণীর ছাত্র ও সৌরভ প্রথম শ্রেণীতে পড়ে।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোফাচ্ছির হোসেনের বাবা ছয়ফুল ইসলাম জানান, হাওরাঞ্চলে এমনিতেই খুব কষ্ট করে ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়। কিন্ত স্কুলে গিয়েও পড়াশোনা না হলে আমাদের সন্তানরা মূর্খই থাকবে। কোনো কর্মকর্তাও স্কুলের খোঁজখবর নেন না। শিক্ষকরাও স্কুলে আসেন না।
বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা কর্শকর্তা রফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই অভিভাবক। বিদ্যালয়টি খালিয়াজুরী উপজেলা সদর ইউনিয়নের গছিখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ওই গ্রামের অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, শনিবার ও বৃহস্পতিবার স্কুলটি বন্ধ থাকে। আর বাকি দিন গুলো খোলা থাকলেও কোন ক্লাস নেন না শিক্ষকরা। নাম ডেকেই ছুটি দিয়ে দেন শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়া মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ খোলার দিন,পাঠদান অব্যাহত থাকার কথা কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তালাবন্ধ রাখায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব রায় এর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামকে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।