মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটপাড়ার দুই রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার আটপাড়া থানার সোহরাব ফকিরসহ দুই রাজাকারকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮) ছাড়া ‌দন্ডিত অপরজন হলেন শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০)। তাদের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদার।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। নেত্রকোণার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ সংগঠন করেছেন। শুরুর দিকে মামলাটিতে আসামি ছিলেন তিনজন। তারা হলেন, শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি, রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু এবং রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী। তিনজনের মধ্যে মঞ্জু ও ছোরাপ আটক ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জু। তিনজনের বাড়িই নেত্রকোণার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে হলেও আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ মেথরপাড়ায়। অপরদিকে ছোরাপের বসবাস ছিলো একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে। ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর তাদের বিরুদ্ধে আটক অপহরণ,নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের তথ্য পাওয়া গেছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।