নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহারের অভিযোগে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করলেন ইউএনও

কলমাকান্দা প্রতিনিধি : নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার  গুতুরা থেকে বড়খাপন রাস্তার জয়নগরের নেকবরের বাড়ী হতে দূর্লভপুর জামে মসজিদ’ পর্যন্ত ১ কি: রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার নির্মাণকাজ চলছিল। নিয়ম না মেনেই হচ্ছিল এ কাজ। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলে  বৃহস্পতিবার বিকেলে  কাজ বন্ধ করে দিলেন  ইউএনও।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের আওতায়  প্রায় ৫৭ লাখ  টাকা ব্যায়ে গুতুরা থেকে বড়খাপন রাস্তার জয়নগরের নেকবরের বাড়ী হতে দূর্লভপুর জামে মসজিদ’ পর্যন্ত ১.৫০ কিলোমিটার লম্বা এবং১০ ফুট চওড়া এইচবিবি (হেরিংবন বন্ড) নির্মাণ কাজ করার জন্য টেন্ডার হয়। মেসার্স জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পেয়ে যথারীতি কাজ শুরু করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণে রীতিমতো পুকুর চুরি হচ্ছিলো। দীর্ঘদিন পর খানাখন্দকে ভরপুর রাস্তাটিতে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি এলেও নির্মাণ কাজ দেখে তারা হতাশ। রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর এই রাস্তার কাজ শুরু হওয়া শুভ লক্ষণ হলেও নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন  জানান প্রকল্প কাজের আশপাশের এলাকার জনমানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ (০৭ ফেব্রুয়ারি)  বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে সর্বসাধারণের উপস্থিতিতে পরিদর্শনকালে বড় ধরণের কিছু অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
প্রকল্পের আওতাধীন রাস্তার প্রস্থ সর্বত্র ১০ ফুট থাকার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও মেপে ৮ ফুট পর্যন্ত পাওয়া যায়। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইটের গুণগত মান খুবই নিম্ন, যা হাতে তুলে নিচে ছাড়লে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়; এছাড়াও ইটগুলো ফাঁকা রেখে বসানো হয়েছে। টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ইটের নিচে ০.১৫ মিটার পুরু বালি থাকার কথা থাকলেও নামমাত্র বালির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, এমনকি কোথাও কোথাও বালি পাওয়াই যায়নি।
এ প্রেক্ষিতে মেসার্স জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে ইতোমধ্যে ব্যবহৃত উপকরণাদি দ্রত অপসারণ করে গুণগত মানসম্পন্ন নতুন উপকরণাদি ব্যবহার করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।