সোনালী আঁশের ফিরছে সুদিন

বিশেষ প্রতিনিধি: সোনালী আঁশের দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশ সোনালী আঁশের ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল। কিন্তু সরকারের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে সোনালী আঁশের সোনালী দিন আস্তে আস্তে ফিরতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার। এই হিসাবে আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

ইপিবির তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত অর্থবছরে কাঁচা পাট থেকে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। পাট সুতা ও কুণ্ডলী থেকে ৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এ ছাড়া ১২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি করা হয়েছে। পাটজাতের অন্যান্য পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে মোট ২২টি পাটকল চালু রয়েছে এবং বেসরকারি খাতে রয়েছে প্রায় ২০০ পাটকল। এর বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করে খাতে।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা পাটের তৈরী পলিথিন ব্যাগ আবিষ্কার করেন। বাংলাদেশের পাটশিল্পের শেষ সংযোজন হচ্ছে পাটের তৈরী পলিথিন ব্যাগ। এটি একাধারে পরিবেশবান্ধব ও বারবার ব্যবহারযোগ্য। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং বিশ্ববাজারে পাটের তৈরী পলিথিন ব্যাগের বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে পাটের তৈরী পলিথিন ব্যাগ বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের মতে , পাটের নীতি সহায়তার পাশাপাশি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে নগদ সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৬০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার মানসম্মত পাট উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন:

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।