খানাখন্দে অচল দুর্গাপুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: খানাখন্দে ভরে গেছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসড়কের প্রধান সড়ক গুলো। ছোট-বড় এসব গর্তে বৃষ্টি হলেই পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্বতা। এতে যান চলাচলসহ পৌরবাসীর হেঁটে চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভার আনাচে কানাচে কিছু রাস্তা সংস্কার হলেও মুল রাস্তা ও নির্মানাধীন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ, তবুও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

এ নিয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, শহরের বিরিশিরি সেতুর উত্তর পাশ থেকে উপজেলা পরিষদ মোড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। কোন কোন গর্ত ৮-১৫ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ও ২-৩ ফুট পর্যন্ত গভীর। এটি শহরের প্রধান সড়কের চিত্র। কলমাকান্দা, নেত্রকোণা সদর, পূর্বধলা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করার একমাত্র রাস্তাই এটি। প্রতিদিন এ সড়কে ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত ট্রলি,মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি, ভটভটিসহ সহ যানবাহন চলাচল করে। সড়কের এক পাশে দুর্গাপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, থানা, সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, ব্যংক, বিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের প্রধান সড়কে এক কিলোমিটার সড়কে ৫০ থেকে ৬০টি ছোট-বড় গর্ত রয়েছে।

কলেজ শিক্ষার্থী ইভা আক্তার, রুমকা, অন্যন্যা, সীমা সরকার, ডায়না নকরেক বলেন, এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন তাদের কলেজে আসা-যাওয়া করতে হয়। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই কাদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। বাকলজোড়া বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলামীন (৩৫) বলেন, আগে দুর্গাপুর বাজার থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় ঠেলাগাড়িতে করে মালামাল বাকলজোড়া বাজারে আনা যেত। কিন্তু সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় বর্তমানে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বিভিন্ন যানবাহনের অন্তত সাতজন চালক জানান, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সময় বেশি লাগায় ভাড়াও একটু বেশি নিতে হচ্ছে। সংস্কৃতিকর্মী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি মোঃ আলী আসগর বলেন, সামনে পবিত্র ঈদুল আযহা,শহরের প্রধান সড়কটিতে হেঁটে চলাচল করাই এখন কষ্টকর হয়ে গেছে।

এ ব্যপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, দুর্গাপুর-শ্যমগঞ্জ শড়কের ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে, শুনেছি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সড়কের চলমান কাজের বরাদ্দ থেকেই গর্ত খোয়া ও বালু ফেলে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।