মেয়েকে উত্যক্ত প্রতিবাদ করায় পিতাকে হত্যা : এক জনের মৃত্যুদন্ড

বিশেষ প্রতিনিধি: মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটে কর্তৃক পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে তিন বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং দুই জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে নেত্রকোনা আদালত। জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী হচ্ছে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের আসদাটি গ্রামের ওয়ারেছ আলীর পুত্র মানিক মিয়া (১৮)। তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, একই গ্রামের ওয়াহেদ আলী(৬০), মুর্তুজ আলী(৫০), ইয়াদ আলী (৪৫) ও ছোয়াব আলী(২৫)। বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলেন, ওয়ারেছ আলী (৬৫)ও ওয়াজেদ আলী (১৭)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে প্রকাশ, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের আসদাটি গ্রামের বঙ্কিম চন্দ্র সূত্রধরের মেয়ে বড়ওয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের ওয়ারেছ আলীর বখাটে পুত্র মানিক মিয়া প্রায়শই প্রেম নিবেদন করে আসছিল। ঘটনাটি পারিবারিকভাবে জানাজানির পর মেয়ের পিতা মানিকের বাড়িতে প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়ীর সন্নিকটে মানিক ও তার লোকজন বিগত ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বঙ্কিম চন্দ্র সূত্রধর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ব্যাপারে মৃতকের ভগ্নিপতি আসদাটি গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র সূত্রধরের পুত্র কানাইলাল সূত্রধর বাদী হয়ে বখাটে মানিক মিয়াসহ ৭ জনকে আসামী করে ২০০৭ সালের ১ অক্টোবর নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ সকল আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনান্তে আসামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি (চলতি দায়িত্বে) এড্ভোকেট সাইফুল আলম প্রদীপ ও আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মাজহারুল হক খান ও এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।