শ্যালিকার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে দুলাভাই কারাগারে !

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: শ্যালিকার প্রেমিককে বরিশালের পটুয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ডেকে নিয়ে এসে ফাঁসাতে গিয়ে এবার কয়লা ব্যবসায়ী গুণধর দুলাভাইকে অবশেষে ইয়াবা ব্যবসার মামলায় কারাগারে যেতে হল।’ সোমবার তাহিরপুর থানা পুলিশ উপজেলার মন্দিয়াতা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে কয়লা ব্যবসায়ী আলাল মিয়া (৩৮) কে ইয়াবা ব্যবসার মামলা দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।’
জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর উর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের কয়লা ব্যবসায়ী আলালের শালিকা সুজিনা বেগম (১৯)’এর সাথে রাজধানী ঢাকায় পোষাক কারখানায় একই সাথে চাকুরি করার সুবাধে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কিসমত মৌকরন গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে গণি আমির (২৭)’র গত ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।’ বিষয়টি টের কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চতুর দুলাভাই আলাল শনিবার সকালে পটুয়াখালী থেকে গণি আমিরকে তাহিরপুরে ডেকে নিয়ে এসে দু’ সহযোগীর মাধ্যমে দার ব্যাগে ইয়াবার একটি প্যাকেট ঢুকিয়ে দিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের নিরাপক্তা কাজে থাকা মন্দিয়াতা আনসার ক্যাম্পের এপিসি সেবুলের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে।’ গ্রামের বাড়ি যাবার পথে ৬ থেকে ৭ সিভিল পোষাকধারী আনসার সদস্যরা ট্রলারে উঠে মাদক ব্যবসায়ী বলে গণিকে হাত- বেঁধে ফেলে।’ এরপর মন্দিয়াতা ক্যাম্পে নিয়ে গণিকে দিগম্বর করে তার ব্যাগ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে থানা পুলিশে খবর দেয়।’
তাহিরপুর থানার ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সন্ধারাতে খবর পেয়ে মন্দিয়াতা আনসার ক্যাম্পে গিয়ে ঘটনা জেনে এপিসি সেবুল, আলাল ও গণিকে ইয়াবা সহ থানায় নিয়ে আসে।’এরপর পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আলালের মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে অপর দু’ ইয়াবা ব্যবসায়ীর সহযোগীতায় আলাল নিজেই ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে এপিসি সেবুলকে আগাম সংবাদ দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে রাখে গণিকে ফাঁসানের জন্য এ পরিকল্পনা করে।’
প্রতারণার শিকার পটুয়াখালী থেকে আসা গণি আমির সোমবার সকালে থানা ভবনে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ভাই আমাকে নৌকায় (ট্রলারে) তোলার পর যখন অচেনা লোকজন হাত পা বেঁেধ ফেলে তখন আমি ধরে নিয়েছি হয়ত আমাকে জানে মেরে লাশ হাওরেই ভাঁসিয়ে দেবে, এরপর তারা আমাকে আনসার ক্যাম্পে নিয়ে দিগম্বর করে মারপিট করে আমার ব্যাগে তাদের রাখা ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের নাঠক সাজায়।’
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর সোমবার বলেন, গণি আমির নিরঅপরাধ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দিয়ে রোববার রাতে আলাল সহ তার অপর দু’সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।’ সোমবার আলালকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।