বাংলার নেত্র’র সংবাদ প্রকাশের পর গৌরীপুরে সেই আরসিসি পিলার ও ভিম অপসারণ

গৌরীপুর প্রতিনিধি: গৌরীপুর স্কুলের দেয়াল ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে দৈনিক বাংলার নেত্রসহ একাধিক পত্রিকা ও অনলাইনে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে বিএনপি নেতার অবৈধ আরসিসি পিলার ও ভিম মঙ্গলবার অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় ও স্কুলের বর্তমান-সাবেক ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ও শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা যায়।
ইউএনও মর্জিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জুয়েল আশরাফ, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বিধু ভূষণ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাজ আজাদ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ম. নুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি বেগ ফারুক আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার, সাংবাদিক মো. রইছ উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আরিফ আহাম্মেদ, আনোয়ার হোসেন শরীফ, সাবেক-বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ ও দলখকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনান্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিদ্যালয়ের দেয়ালের চৌসীমানার মধ্যে নির্মিত আরসিসি পিলার ও ভিম তাৎক্ষনিকভাবে ভেঙ্গে অপসারণ করা হয়।
প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও শেখ সাদেকুল ইসলামের সাথে। বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ২৬ জুলাই আব্দুস সালামের স্ত্রী নূসরাত জাহান নীপার আঙ্গুল ভেঙে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস। এ ঘটনায় আব্দুস সালাম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়েরের ফেরদৌসকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীম আরা জানান, আব্দুল সালাম, শেখ সাদেকুল ইসলাম ও তাদের লোকজন জোরপূর্বকভাবে বিদ্যালয়ের জমি দখলে নিয়ে আরসিসি পিলার দিয়ে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলো। গনমাধ্যমে খবর প্রকাশের ইউএনও ম্যাডাম স্কুল পরিদর্শন করে দু পক্ষের উপস্থিতিতে অবৈধ দেয়াল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম বলেন, ভূমি জরিপ করে যদি দেখা যায় আমার জায়গা বিদ্যালয়ের অংশে পড়ে গেছে। তাহলে আমি ও শেখ সাদেকুল স্কুলের স্বার্থে জমি লিখে দিয়ে দিবো। আমরাও এ ঘটনার নিষ্পত্তি চাই। বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস জানান, বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে আমার জমি পড়লে আমিও লিখে দিব। ইউএনও মর্জিনা আক্তার বলেন, দু পক্ষের সাথে আলোচনা করে অবৈধ আরসিসি পিলার ও ভিম অপসারণ করা হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।