দুই লাখ টাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ

আলপনা বেগম: শালিস দরবার করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনী নেত্রকোনার মদনের কবিতা। অবশেষে রবিবার দুই লাখ টাকায় ঘটে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ।
মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে কবিতা। প্রেম করে গত ২০১০ সনে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া সাজিউরা ইউনিয়নের পাচারুলিয়া গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনর সাথে। এরপর থেকেই কবিতা ঢাকার মিরপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করে সংসার চালাতো। বিয়ের পাঁচ বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। এরপর থেকে শুরু হয় সংসারে অশান্তি। স্বামী আলমগীরের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে স্বামী তার ভরনপোষন দেয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করলে নিজ গ্রামে মাতব্বরদের মাধ্যমে একাধিকবার শালিস দরবার হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয় না। গ্রাম্য শালিস দরবারে কোথাও বিচার পায়নি কবিতা। গ্রামের এক চাচা দুলদুল মিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন ব্র্যাক-মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচীর কথা। এখানে গেলে বিচার পাওয়া যাবে এমন আশায় গত ১৫ অক্টোবর ব্র্যাক-মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচীর সদরে অভিযোগ জমা দেন কবিতা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি শুনানী শেষে দেনমোহর বাবদ নগদ দুই লাখ টাকায় বিরোধ নিস্পত্তি হয়। সেই সাথে শিশুর খরচ বাবদ ৬ বছর পর্যন্ত দুই হাজার করে টাকা প্রদান করার সদ্ধান্ত হয়।
রবিবার দুপুরে ব্রাক এরিয়া কার্যালয়ে দেনমোহর ও ভরনপোষনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে কবিতার হাতে টাকা তুলে দেন জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি প্রবাল কুমার সাহা জেলা ব্যাবস্থাপক (আইন সহায়তা) হাফিজা খানম ও সিনিয়র উপজেলা ম্যানেজার মোঃ ওমর ফারুখ খান।
নতুন করে জীবন সংগ্রামে ব্রতী হয় কািবতা। তার জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য মেয়েকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। সে পুনরায় চাকুরী করে মেয়েকে নিয়ে নতুন জীবন গড়ে তুলবে বলে অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন। চাচা দুলদুল মিয়া জানান, অনেক ঘুরতে ঘুরতে সন্ধান পান ব্র্যাকের। এখানে নির্যাতিত নারীদের সমস্যা সমাধান করে দেয়া হয়। এই জেনেই তার ভাজতি কবিতাকে তিনি নিয়ে আসেন এখানে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।