পরকিয়া প্রেমের বলি স্বামী নেত্রকোনায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড

বিশেষ প্রতিনিধি: পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে পাষন্ড স্ত্রী ও তার পরকিয়া প্রেমিককে মৃত্যুদন্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে নেত্রকোনা আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা দেন। মৃত্যুদন্ডে দন্ডিতরা হচ্ছেন, দূর্গাপুর উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের মৃত সঞ্জয় সরকারের স্ত্রী সীমা রাণী সরকার ও তার প্রেমিক বাদুয়া শ্রীপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, বিগত ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারী রাতে জেলার দূর্গাপুর উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের সঞ্জয় সরকারের স্ত্রী সীমা রানী সরকারের সাথে বাদুয়া শ্রীপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি স্বামী টের পেয়ে তাতে বাঁধা দেওয়ায় পাষন্ড সীমা রাণী সরকার ও তার প্রেমিক আলমগীর হোসেন পরিকল্পিত ভাবে সঞ্জয়কে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ভজন সরকারের বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে ফেলে রাখে। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন ভজন সরকারের পুকুর পাড়ে সঞ্জয়ের লাশ পরে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ঔদিনই সঞ্জয় সরকারের বড় ভাই রাখাল সরকার বাদি হয়ে দূর্গাপুর থানায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল সঞ্জয়ের স্ত্রী সীমা রাণী, তার প্রেমিক আলমগীর হোসেন ও স্থানীয় যুবক জুয়েলকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রামাণাদি গ্রহনান্তে আসামী সীমা রাণী ও আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন । মামলার অপর আসামী জুয়েলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী প্রমাণ না থাকায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।