যুগোপযোগী আইন তৈরী করতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে-প্রধান বিচারপতি

বিশেষ প্রতিনিধি: নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে নেত্রকোণায় নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে নেত্রকোণা জেলা স্টেডয়িামে নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ওবায়দুল হাসানের এটাই নেত্রকোণায় প্রথম সফর। বিকোল তিনটার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সানজিদা ইসলাম মানপত্র পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম খান। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান লিটন। উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা-২ আসনের এমপি ও সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে. এম কামরুল কাদের, মোস্তুফা জামান ইসলাম, নেত্রকোণা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধান বিচারপতির ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জাকিয়া পারভীন মনি,পরিকল্পনা কমিশনের সচিব একেএম ফজলুল হক, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবীর ও মোহাম্মাদ ইফতেখার বিন আজিজ, শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম কবীর, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহম্মেদ, সরকারি কৌঁসুলি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলাম, ও সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, যুগোপযোগী আইন তৈরী করতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আইনের অনেক ডালপালার জন্য একটি মামলা বিভিন্ন আদালতে যেতে হয়। এজন্য মামলার জট শুরু হয়। মামলার জট কমিয়ে মানুষকে সেবা দিতে হবে। অনেক আইন আছে, যেগুলো যুগোপযোগী করে তৈরি করা যেতে পারে।

প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে তৈরি হয়ে উঠতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে তরুণদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। আর এজন্য পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষকরাই একটা জাতিকে সুন্দর করে তৈরি করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির সফল গ্রহণ করতে হবে। কোনোভাবেই যেনো এর কুফল নতুন প্রজন্মকে গ্রাস না করে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনারা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, সহিষ্ণু হোন। তাহলে সমস্ত সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুলে যাবে। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়ে গেছেন। এই পবিত্র সংবিধান রক্ষা করা আমাদের বিচার বিভাগের সবার দায়িত্ব। বিচারপতি হিসেবে সংবিধান সংরক্ষণ করার শপথ নিয়েছি। ২৬ তারিখে আবারও শপথ নিয়েছি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে। এই সংবিধান সংরক্ষণ, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে আমানত আমার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা যেন পবিত্রভাবে পালন করতে পারি। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সংবিধান থেকে যেন বিচ্যুত না হই। যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার নির্দেশিত পথে আমরা থাকতে পারি। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থে কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। এর একটির গুরুদায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। যদি ঠিকঠাক না হয়, তবে তা অকল্যাণ হয়ে যাবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।