
বিভাস. কলমাকান্দা থেকে.
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আকস্মিক ঝড় ও বৃষ্টিতে বসতঘর, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝরের কবলে পড়ে আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) নামের এক জেলে মারা গেছেন। এ সময় অনিল দাস (৪৮) নামের এক জেলে নিখোঁজ হন। রোববার রাত পৌনে তিনটার থেকে এই ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৪০ মিনিট।
মারা যাওয়া আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার সুনই বেখরিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে। আর নিখোঁজ অনিল দাস কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকলিয়া গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র দাসের ছেলে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, ইউএনও আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান ঝড়ে নিহত আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ছাড়াও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০টি পরিবারের লোকজনের মধ্যে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে উপজেলার প্রায় শতাধিক কাঁচা বাড়ি ঘর, প্রচুর গাছপালা বিধ্বস্ত হয়। বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায় ও খুঁটি হেলে যায়। সোমবার দুপুর তিনটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলমাকান্দায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে কলমাকান্দার পোগলার ভানবিলে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক মৎস্যজীবী ধরতে গিয়ে মারা যান। এ সময় সোনাডুবি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে অলিল চন্দ্র দাস নিখোঁজ হন। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ অনিল দাসকে উদ্ধারের জন্য কিশোরগঞ্জের একটি ডুবুরি দল কাজ করছেন। আর নিহত আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।