পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করছেন ওসি আবুল কালাম

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় গত এক বছরে পানিতে ডুবে ৩৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের বয়স ১৮ মাস থেকে ১১ বছরের মধ্যে। ২০২২ সালের আগষ্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতাল ও থানায় থাকা হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে। শিশুদের এই অকালমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সচেতন করছেন কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম (পিপিএম)। মঙ্গলবার সকালে লেংগুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ক্লাসে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, যেসব শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে, তাদের বয়স দেড় থেকে ১১ বছরের মধ্যে। বেশির ভাগ শিশুই বাড়ির সামনে, পেছনে বা পাশের গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি, পুকুর, ডোবা (ছোট জলাশয়), নদীতে ডুবে মারা গেছে। এসব মৃত্যুর ঘটনা সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে বেশি হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘরের লোকজন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তখন শিশুরা কোথায় খেলছে, অনেক সময় খেয়াল করেন না। আর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে যখন পরিবারের সদস্যরা বিশ্রাম করেন, তখন শিশুরা খেলতে বের হয় আর দুর্ঘটনার শিকার হয়। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে দরিদ্র পরিবারের শিশু বেশি
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো শিশুদের সাঁতার না জানা ও সচেতনতার অভাব। তাই এ নিয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচারপ্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমরা সেখানে গিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলে থাকি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই বেশির ভাগ সময় শিশুদের মৃত্যু হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেউ ডুবে গেলে তাকে উদ্ধারের পরপর তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালু করার যেসব প্রাথমিক উদ্যোগ আছে, সেগুলো মানুষকে শেখানো। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সভা সেমিনার করা হচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।