নেত্রকোণায় শৈলজারঞ্জনের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতাচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে শহররের অজহর রোড এলাকায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে সংগঠনটির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। সঞ্চালনা করেন উদীচীর সহসম্পাদক মো. আলমগীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার ঘোষ। বক্তব্য দেন, শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাবন্ধিক হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রাবন্ধিক সঞ্জয় সরকার, কবি স্বপন পাল প্রমুখ। আলোচনার পর রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী নারায়ণ কর্মকার।

বক্তারা জানান, শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক শৈলজারঞ্জন মজুমদার রবীন্দ্রসঙ্গীতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন। দিনে দিনে হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ট সহচর। কবির উৎসাহে একসময় তিনি রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপনা ছেড়ে সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। প্রণয়ন করেন আড়াই শতাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বেশকিছু গীতিনাট্যের স্বরলিপি। তার উদ্যোগেই নেত্রকোনা দত্ত হাই স্কুলে ১৯৩২ সালে প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। শান্তিনিকেতনের বাইরে এর আগে বিশ্বের কোথায়ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়নি। দুই বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে এই সঙ্গীতজ্ঞের অবদান অনস্বীকার্য। কণিকা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীই তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শিষ্য। সুরের গুরু শৈলজারঞ্জন মজুমদার ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের বাহাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯২ সালের ২৪ মে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।