
বিশেষ প্রতিনিধি: গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং শহরের মহল্লাগুলোকে বিটে বিভক্ত করে একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে (এসআই) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রেখে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন। বিট এলাকার ভাড়াটিয়াদের তথ্য, প্রতিবেশীর তথ্য, অপরাধীদের গতিবিধি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করাসহ নির্দিষ্ট কাজে তিনি ভূমিকা রাখবেন। আইনি পরিভাষায়, বিট হলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা। পুলিশ অধীক্ষেত্রের একটি ছোট অংশকে আমরা বিট বলছি। একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। হাওরাঞ্চলের মতো দুর্গম এলাকাগুলোতে কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশের কারণে ওই দুর্গম এলাকায় সিংহভাগ সমস্যা সমাধান সম্ভব হচ্ছে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য্য বিপিএম রোববার বিকেলে নেত্রকোণা শহরের প্রবেশ মুখে কনস্টেবল শিপন মিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স উদ্ধোধনকালে এসব কথা বলেন।
ডিইজি আরো বলেন, জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সব সময় আপনার দোরগোড়ায়। তবে শুধুমাত্র আইন করে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য সতর্ক হতে হবে সবাইকে। সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে বেশিরভাগই ঘটছে মোটরসাইকেলে। যে কারণে আমরা হেলমেট ব্যবহারের ওপর জোড় দিচ্ছি। পাশাপাশি গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর নিদিৃষ্ট ট্রাফিক বক্সটি থাকলে সার্বক্ষণিক পুলিশ ডিউটি দিতে পারবে। একটু বিশ্রামও নিতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ফয়েজ আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসীত সরকার সজল, পুলিশ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার জান্নাত আফরোজ, পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোহাম্মাদ হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন, জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান, নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ লুৎফুল হক, দৈনিক বাংলার নেত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসাইন, প্রথম আলো প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
এরপরে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের উদ্যোগে রোববার বিকেলে জেলা শহরের কুড়পাড় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের উদ্ধোধন করেন রেঞ্জ ডিআইজি।
উল্লেখ্য, কনস্টেবল শিপন মিয়া ১৯৯৭ সালে ময়
মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৭ সালের ৯ মে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১৭ মে পর্যন্ত তিনি সদর ট্রাফিক অফিসে কর্মরত থাকাকালে পেশাদারী কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ প্রশংসিত হন। কনস্টেবল শিপন মিয়া নেত্রকোনা থেকে বদলী হয়ে শেরপুর জেলায় ২০২২ সালের ২৭ মে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর শেরপুর জেলা হতে নেত্রকোণায় বদলীর আদেশপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে আসার পথে ৭ নভেম্বর মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।