পূর্বধলায় গরুর হাট বসিয়ে অবৈধ হাসিল নেওয়ার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পুঁটিকা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাসিল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাট বন্ধের দাবিতে গত মঙ্গলবার শ্যামগঞ্জ গরুর হাটের ইজারাদার মো. খোকন মিয়া ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়।

লিখিত অভিযোগ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার পূর্বধলা উপজেলায় পূর্বধলা, শ্যামগঞ্জ, হুগলা ও হিরণপুর এই চারটি বাজারে গরু-ছাগলের হাট বাসানোর সরকারি অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের পুঁটিকা বাজারে একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ধদিন ধরে অবৈধভাবে গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে আসছে। মহলটি ওই হাট থেকে কোটি টাকা অবৈধ হাসিল আদায় করে যাচ্ছে। এতে করে পুটিকা বাজার থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শ্যামগঞ্জ বৈধ গরুর হাটটির ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ নিয়ে গত বুধবার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শ্যামগঞ্জ গরুর হাটের ইজারাদার মো. খোকন মিয়া।

খোকন মিয়ার দাবি, অসাধু প্রক্রিয়া অবলম্বন করে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল কাশেম মণ্ডল ও তার কয়েকজন সহযোগী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গরুর হাট বসিয়ে হাসিলের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ভারত থেকে পাচার করা গরুসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই গরু এই বাজারে বিক্রি করা হয়। এর আগে বাজারটি বন্ধের দাবিতে গত ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল স্থানীয় বাসিন্দা শহিদ উল্লাহসহ কয়েকজন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখনো বাজারটি বন্ধ করা হচ্ছে না।

খোকন মিয়া আরো বলেন, ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পুঁটিকা বাজারে প্রতি সোমবারে অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হাসিলের চাঁদার ভাগ নায়েব (সহকারী ভূমি কর্মকর্তা), উপজেলা প্রশাসন ধরে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পেয়ে থাকেন। বাজারকে কেন্দ্র করে এলাকায় একাধিক পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধ গরুর বাজারের নামে চাঁদাবাজির বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম মণ্ডলের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় ইউনিয়নের উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মো: ফজলু মিয়া আকন্দ বলেন, এটির সরকারি অনুমোদন নেই। তবে, খাস কালেকশনের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে। প্রতি সম্পাহে তিন হাজার করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ‘খাস আদায় করে টাকা নিয়ম অনুসারে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খানস মজলিশ, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাজারটি অবৈধ হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।