কলমাকান্দায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে গাছ কাটা

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর-লেংগুরা সড়কের পাশের ভবানীপুর স্থান থেকে ৩৫টি আকাশমণি গাছ কাটার খবর পান উপজেলা প্রশাসন। পরে সোমবার বিকেলে প্রশাসনের লোকজন সড়কের পাশের গাছ কাটতে নিষেধাজ্ঞা দেন। তবে সে’দিন গাছ কাটা বন্ধ রাখলেও পরের দু’দিনে আরো ২০টি গাছ কেটে নেন ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুরুল হক মঞ্জু নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৫৫টি গাছ কাটার খবর পাওয়া গেছে।
গত বুধবার দৈনিক যুগান্তরে ‘কলমাকান্দায় ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে সড়কের গাছ কর্তন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুরুল হক মঞ্জু তার ব্যক্তিমালিকানার দাবি করে নাজিরপুর-লেংগুরা সড়কের পাশের ভবানীপুর স্থান থেকে শতাধিক গাছ কাটার উদ্যোগ নেন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত তিনি চার জন শ্রমিক দিয়ে ৩৫টি গাছ কাটেন। খবর পেয়ে কলমাকান্দার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটতে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির ওপর দু’জন সদস্য হলেন, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব চক্রবর্তী ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আনোয়ার পারভেজ। কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে সড়কের পাশের গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন করে আবারও গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।