মদনে কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দুই শতাধিক বাড়িঘর

স্টাফ রির্পোটার, মদন : নেত্রকোণার মদনে কাল বৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এর সাথে শিলা বৃষ্টিতে আম, কাঁঠাল, লিচু,শাকসবজি, পাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর থেকে সরজমিন পরিদর্শন করে প্রশাসনের লোকজন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করছেন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২২৯ টি পরিবারের ঘর কালবৈশাখীতে ভেঙে যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এর আগে রবিবার (২১ মে) বিকেল আনুমানিক ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টার স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ে পাল্টে গেছে মদন উপজেলার চিত্র। গাছের ডাল-পালা ভেঙে নেত্রকোনা-মদন সড়ক,কেন্দুয়া-মদন সড়ক, ফতেপুর-মদন সড়কসহ কয়েটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলা স্বাভাবিক করে। এর সাথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙে যায়। বিদ্যুৎ এর তারে গাছ ও ডাল-পালা পড়ে থাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখায় সীমাহিন দূর্ভোগে পড়ে লোকজন। সোমবার দুপুরে পৌরসদরের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলেও গ্রামাঞ্চলের সংযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।

নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মদন জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ ফিরোজ হোসেন জানান,‘ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ২০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। খুটি মেরামত করতে ঠিকাদারের তিনটি দল কাজ করছে। বর্তমানে পৌর সদরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছি। গ্রামাঞ্চলের সংযোগ চালু করতে আরো সময় লাগবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ‘শিলাবৃষ্টিতে ১৫ হেক্টর জমির পাট আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এর সাথে ০.৫ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে।’

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার চিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে। ঝড়ের পর থেকে আমি নিজে সরজমিন পরিদর্শণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করছি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২২৯ টি পরিবারের ঘর ভেঙে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের সংখ্যা আরো বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকরা কর্তৃক সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।