
বিশেষ প্রতিনিধি: ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। আজকের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবে। শিক্ষার্থীরা যদি র্স্মাট নাগরিক হিসেবে তৈরি না হয়, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের দায়িত্ব কে নেবে ? এই বাংলার আবহমান কালের ঐতিহ্য লালন করতে হবে। রোববার বিকেলে নেত্রকোণার ‘শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের হাতে তৈরি হবে দেশের ভবিষ্যত। আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেমন বাংলাদেশ আপনারা চান? আপনারা যদি স্মার্ট বাংলাদেশ চান, শান্তি শৃংখলার বাংলাদেশ চান, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ চান, উন্নত বাংলাদেশ চান তাহলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের লোকজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়ের চলমান কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এর ডিজাইন পরিবর্তন করা যাবে না।’
রোববার দুপুরে নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এমপি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের সভাপতিত্বে ও বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার শুভ্র চন্দন মহলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, অসীম কুমার উকিল এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক,অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অসীত সরকার সজল, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান লিটন, ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান হাফসা আক্তার ও শিক্ষার্থী ইলিন জাহান উর্মি প্রমুখ।
এর আগে শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি একটি কেক কাটেন। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ মঞ্চে বসে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পরে বিশ^বিদ্যালয়, দেশ ও জাতির সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি নেত্রকোণা সরকারী কলেজে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে যোগদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপননীতি পাশ হয়। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠার পর পরই একনেকে ২ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। শহরের রাজুর বাজার এলাকায় টিটিসির একটি তিনতলা ভবনে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।২০০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ও পরের বছর থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। রাজুর বাজার এলাকায় ৪৯৮ দশমিক ৪৫ একর জায়গায় স্থাপিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।