কলমাকান্দায় কৃষকের এক হাজার করলা গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা

কলমাকান্দা প্রতিনিধি. নেত্রকোণার কলমাকান্দার খৃষ্টানপাড়া এলাকায় ৪০ শতক জমিতে কৃষক বিভু গমেজের ১ হাজারটি করলা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে করে ৩ লাখ টাকার করলা নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বরদল খৃষ্টানপাড়া এলাকার মৃত-বার্নাড গমেজের ছেলে ভুক্তভোগী বিভু গমেজ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিভু গমেজ ছয় মাসের জন্য ৩ হাজার টাকা দিয়ে প্রতিবেশী আদম গমেজের কাছ থেকে ৪০ শতক জমি নেন। পরে তিনি গত জানুয়ারি মাসে ওই ৪০ শতক জমিতে করলার বাগান করেছেন। প্রতিটি করলাগাছে আশানুরুপ করলা ধরেছে। সপ্তাহখানেক পরেই তিনি করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছিলেন। এর মধ্যেই বুধবার রাতে কোন এক সময় কে বা কারা তার করলা গাছগুলোর মাঝের অংশ কেটে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখেন সবগুলোগাছ কাটা অবস্থায় রয়েছে। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, খৃষ্টানপাড়া এলাকায় বিশাল এই করলাবাগান। বাগানের প্রতিটি গাছে ছোট-বড় অনেক করলা হয়েছে। বেশির ভাগ গাছের মাঝের অংশ কাটা থাকায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। তবে কত পরিমাণ করলার ক্ষতি হয়েছে, তা পরিমাপ করা বেশ কঠিন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বিভু গমেজ বলেন, প্রায় এক লাখ টাকা ঋণ করে তিনি করলাবাগানটি করেছেন। আশা ছিল, রমজান মাসে করলা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করবেন। কিছু টাকা লাভেরও আশা ছিল। কিন্তু বাগানের গাছগুলো কেটে ফেলায় এখন লাভ তো দূরের কথা কীভাবে দেনা শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত আছেন। তিনি বলেন, তার করলা গাছের সাথে থাকা জমির মালিক প্রতিবেশী আদম গমেজের কয়েকটি বড় গাছ রয়েছে। আর ওই গাছের ছায়ায় করলার ক্ষতি হচ্ছিল। তাই তিনি কিছু গাছের ডাল কেটে দেন। পরে এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আদম গমেজসহ তার লোকজন বিভু গমেজের করলাগাছের ক্ষতি করবেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, কৃষক বিভু গমেজের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কারা কী কারণে বাগানের গাছগুলো কেটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বাগানমালিকের সঙ্গে পূর্ব কোনো শত্রুতার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।