কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ পর অস্ত্রোপচারসেবা

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১২ বছর পর নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারসেবা শুরু হয়েছে। অবেদনবিদ ও গাইনি এই দুই চিকিৎসকের অভাবে ২০১১ সাল থেকে এখানে সিজার করা বন্ধ ছিল। তবে রোববার সেখানে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজারের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার আবারও চালু করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবেদনবিদ ও গাইনি বিশেষজ্ঞ পদে কেউ ছিলেন না। সিজার করতে হলে এ দুজন বিশেষজ্ঞকে অবশ্যই থাকতে হয়। তাই বারো বছর ধরে অস্ত্রোপচারের সব ধরণের যন্ত্রপাতি থাকা সত্তেও কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজার করা সম্ভব হয়নি।
রঘুনামপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, রোববার সকালে তার স্ত্রী লুগনা জাহানকে নিয়ে সিজারের জন্য হাসপাতালে আসেন। পরে সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তিনি আরোও বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করা এক দিকে যেমন খরচ অন্যদিকে মানও খারাপ। ক্লিনিকগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এসব বিবেচনায় তিনি কলমাকান্দা হাসপাতালে অনেক উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল মামুন বলেন, এখানে গত এক বছর আগে অবেদনবিদ ডা. সুমন আহমেদ যোগদান করেছেন। কিন্তু গাইনি চিকিৎসক এলিজাবেদ নাহিদ কান্তা যোগদান করেছেন মাত্র তিন মাস আগে। এই দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যোগদান করায় ওই নারীর অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে। এ কাজে তাকে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার সহায়তা করেছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।