
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক যুবককে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তিন যুবক। তবে তাদের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয় তাদের। শুক্রবার বিকালে আটকৃতদের নেত্রকোনা জেলা আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এরআগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সিধলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, নাটোরের বাগাতিপারা উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের মো. সুমন আহমেদ (৪০), একই জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার শিধলী গ্রামের সমিউল হারুন (২৭) ও রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. আসমত আলী (৩৩)। তাদের ভাষ্যমতে, সুমন আহমেদ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও সামিউল হারুন স্নাতক (অনার্স) পড়ুয়া ছাত্র।
আর উদ্ধার হওয়া মো. হৃদয় মিয়া (২৫) উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের উত্তর গোঁড়াগাও গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে।
কৈলাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, মো. হৃদয় মিয়া নামের এক যুবককে সিধলী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে তিন যুবক। সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠানোর সময় ওই যুবক চিৎকার শুরু করলে লোকজন জড়ো হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ওই ডিবি পুলিশের কাছে পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু এসময় তারা কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের ওপর চড়াও হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
হৃদয়ের মা মোছা. মালেকা খাতুন জানান, আমার ছেলে (হৃদয়) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে আটকৃতরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে হৃদয়কে বলে তুই তক্ষক ব্যবসা করিস আমাদের এক লক্ষ টাকা দে। টাকা দিতে অনিহা করায় হৃদয়কে মারপিট করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় আমার ছেলের চিৎকারে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী তাদেরকে পুলিশের নিকট সোর্পদ করেছে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিন যুবক হৃদয় মিয়া নামের এক যুবককে তুলে নিতে চেয়ে ছিলো। খবর পেয়ে তাদেরকে আকট করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ওইদিন রাতে হৃদয়ের মা মোছা. মালেকা খাতুন বাদি হয়ে আটককৃত তিনজনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকালে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।