নেত্রকোণায় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!

বিশেষ প্রতিনিধি: ‘চাকরী নয় সেবা’ শ্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। পুলিশের চাকরি পেতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। অভিভাবকদের সন্তানের চাকরীর জন্য জমিজমা বিক্রি করতে হবে না। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট এবং ২০ টাকার ফরম কিনলেই হবে একজন যোগ্য প্রার্থীর চাকুরী।

আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো: ফয়েজ আহমেদ।

পুলিশ সুপার মো: ফয়েজ আহমেদ বলেন, আজ বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হবে। নিয়োগের সময় অনেকে প্রতারণার শিকার হন। তারা পুলিশের চাকরির জন্য জমিজমা ও গরু-বাছুর বিক্রি করেন। চাকরির জন্য দালাল ধরেন। চাকরির জন্য দালালের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সাংবাদি সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালালেরা আপনাদের জোর করলে তাদের পরিণতি হবে ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের মতো। আপনারা এসব বিষয়ে সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেবেন।’

এ সময় পুলিশ সুপার মো: ফয়েজ আহমেদ আরো বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘১২০ টাকায় পুলিশে লোক নিয়োগের এই বার্তা আপনারা জেলার নব জায়গায় পৌঁছে দেবেন। সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী লাইনে দাঁড়াবেন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশে চাকরি পাওয়া যাবে। এজন্য কেনো টাকা পয়সা লাগবে না। যদি কেউ কোথাও পুলিশের চাকরীর জন্য টাকা দাবী করে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন।’

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: লুৎফুর রহমানসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা।

উল্লেখ্য, পুলিশ কনস্টেবল পদে নেত্রকোনা জেলায় ৮৬জন লোক নিয়োগ করা হবে। নেত্রকোনার দশ উপজেলার ৩০১০ জনপ্রার্থী আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারীর নিয়োগ হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিন শারিরীক যোগ্যতার বাছাই, পনেরো ফেব্রুয়ারি লিখিত ও তেইশে ফেব্রুয়ারি ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।