মোহনগঞ্জে সাবেক মেম্বারের দরজার সামনে কাপনের কাপড়! এলাকায় আতঙ্ক

মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের নিহার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) আ. হাকিমের ঘরের দরজার সামনে মেলেছে কাপনের কাপড়। এতে আতংকে পড়ে যান হাকিম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে সেই কাপড় থানায় নিয়ে যায় হাকিম। পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার হোতাকে খুঁজ করছে।

মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শনিবার ভোরে উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের নিহারা গ্রামের সাবেক মেম্বার আ. হাকিমের ঘরের দরজায় এ কাপনের কাপড় পাওয়া যায়।

সাবেক মেম্বার আ. হাকিম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘরের দরজা খুলে আমার স্ত্রী। দরজা খুলেই বারান্দার একটি চেয়ারে পলিথিন মোড়ানো কাপনের কাপড় দেখতে পায়। তার চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে কাপনের দেখে ভয়ে আৎকে উঠি। এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেও এখন ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারচি না। পরে শনিবার দুপুরে কাপনের কাপড়টি থানায় নিয়ে যাই। পুলিশ এলাকায় এসেছিল।
আ. হাকিম আরও জানান, কিছুদিন আগে এলাকার একটি ছেলে খুন হয়েছে। খুনিকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। সেই খুনের ঘটনার তদন্তে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগীতা করেছিলাম। মনে হচ্ছে ওই খুনির সহযোগীদের কেউ বদলা নিতে এমনটা করে থাকতে পারে।

জয়পুর গ্রামের জাকির হোসেন পাবেল জানান, গত ডিসেম্বরে আমার শ্যালক শরীফ খুন হয়। এ ঘটনায় গ্রামের মাজহারুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চলতি মাসে খুনের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এতে মাজহারুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। খুনের ঘটনা তদন্তে মেম্বার আ. হাকিম আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন। তাই তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পক্ষের কেউ এমন কাজ করে থাকতে পারে। আশা করছি পুলিশ তদন্ত করলে এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে। কয়েকদিন আগে একটা খুন হয়েছে এই গ্রামে। এখন আবার কাপনের কাপড় পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এলাকায় এখন বাজারে সন্ধ্যার পর কেউ থাকছেন না। এমনকি ঘরের মধ্যেও মানুষ ভীত অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বলেন, কাপনের কাপড় পাওয়ার পর এলাকার মানুষ কিছুটা ভয়ে রয়েছেন। তবে তাদের আশ^স্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বিষয়টি অবহিত করলে বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্ট-মোহনগঞ্জ) সাইদুুর রহমান বলেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ভুক্তভোগীরা থানায় এ ঘটনায় একটা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুক।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।