গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল দিলেন কলমাকান্দার ইউএনও

প্রান্ত সাহা বিভাস, কলমাকান্দা থেকে: ‘রাইত তখন সাড়ে ১১টা বাজে! হঠাৎ আমাগো ঘরে হাজির হন ইউএনও। উনি আইসা দেখে আমার পোলাপাইনরা এই শীতে পাতলা একটি কাঁথা গাও দিইয়া ঘরে কোন রকমে ঘুমাইয়া রইছে। উনি আমাগো দুখের কতা হুইন্না আমারে একখানা ভালা কম্বল দিয়া চইল্লা গেছে। এহন আর শীতে আমাদের কষ্ট করতে হইবো না। কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার চিনাহালা গ্রামের বৃদ্ধা আদর বানু (৬৪)।
জানা গেছে, প্রচন্ড শীতে মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গরিব মানুষগুলোর কষ্ট নিজের চোখে দেখতে বের হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম। সঙ্গে ছিলেন ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান। তিনি সঙ্গে নিয়ে যান সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া কিছু কম্বল। পরে তিনি কখনো গাড়িতে, কখনো হেঁটে তিনি উপজেলার চিনাহালা, বিষাড়া, পাইলট স্কুল মোড়, শিবপুর, চাঁনপুর, ড্রেনপাড় এলাকার দরিদ্র মানুষদের ঘরে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনে যাদের বেশি প্রয়োজন এমন গরিব দুস্থদের মধ্যে কম্বল দেন।
বিশাড়া গ্রামের দিনমুজুর আবুল মিয়া বলেন, ‘বউ পোলাপানেরে নিয়া শীতের জ্বালায় গুমাইতে পারছিলাম না। এখন এই কম্বলখানা পাইয়া সবাই রাইতে গুমাইতে পারুম। ইউএনও’কে ধন্যবাদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, গ্রামের গরিব মানুষের শীতের কষ্ট নিজের চোখে দেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল দিলে সত্যিকার যাদের প্রয়োজন, তারা পাবে-এ কারণেই তিনি গিয়েছেন। আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।