নেত্রকোণার কৃতি সন্তান ড. মাসুমের সেরা ইতিহাস গ্রন্থকার পুরস্কার লাভ

ম.কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম: গত ৩০-৩১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৫০তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ও বর্তমান চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল-মাসুম-এর রচিত ‘নেত্রকোণার শিক্ষার ইতিহাস ও আঞ্জুমান মডেল হাই স্কুল’ শীর্ষক গ্রন্থটি বাংলাদেশের গবেষণামূলক ইতিহাস গ্রন্থসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।

সম্মেলনের প্রথম দিনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো. আখতারুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া, কুমল্লিা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম মোফাখখারুল ইসলাম, জাতীয় আর্কাইভস এর সাবেক পরিচালক ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল বাছির, প্রক্টর প্রফেসর ড.এ.কে.এম গোলাম রব্বানী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক, গবেষক ও ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত উল্লখ্যে, প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল-মাসুম নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার জালালপুরের কাজিবাড়ির কৃতি সন্তান। তিনি আঞ্জুমান মডেল হাই স্কুলের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র। বাংলাদেশের শিক্ষার ওপর তাঁর দুটি মূল্যবান ইতিহাস গ্রন্থ ইতোমধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়াও প্রায় ৩৫টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান জার্নাল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তরসহ এমফিল ডিগ্রি, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অব মালয়েশিয়া থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। তাছাড়াও তিনি জাপানের টুহুকু ইউনিভার্সিটি এর রিসার্চ ফেলো ও সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ (টক) এর ফ্যাকাল্টি অব হিস্ট্রি’র ভিজিটিং স্কলার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার ওপর গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেন। তাঁর গবেষণা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিন্তান, তুরস্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মিশর, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চ এসোসিয়েশন থেকে এওয়ার্ডস, স্কলারশিপ, ফেলোসিপ ও গ্রান্টস লাভ করেন।

তিনি তাঁর উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের ২০ টিরও অধিক দেশ সফর করেন।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।