বিএনপির কর্মসূচিতে কোন বাধা দিতে চাই না -সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে থেকেই খেতা-বালিশ নিয়ে বিএনপি জড়ো হয়। আমরা তাদের ১০ তারিখের (ডিসেম্বর) কর্মসূচিতে কোন বাধা দিতে চাই না। তবে বিশৃংখলা করলে এবার খেলা হবে। খেলা হবে যদি তারা সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কঠিন জবাব দেওয়া হবে। এবার খেলা হবে মাস্টার মাইন্ড হাওয়া ভবনের ছোকরা তারেকের বিরুদ্ধে, বিএনপির আন্দোলনের নামে সহিংস পরিস্থিতির বিরুদ্ধে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, জনসমুদ্র কাকে বলে নেত্রকোণায় এসে দেখে যান। অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমাদের দেশেও সেই ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা সরকার রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এই সরকারের অধীনেই দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ্। সোমবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।তিনি আরো বলেন, খেলা হবে, ডিসেম্বর মাসে খেলা হবে। আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাদ, জঙ্গীবাদ ও আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়, তা হলে জনগনকে সাথে নিয়ে পাল্টা হামলা করা হবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড বেশী বেশী করে জনগনের সামনে তুলে ধরার আহবান।
এর আগে দুপুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি সঞ্চালনায় সন্মানিত অতিথি হিসেবে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এমপি। সম্মেলনে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম এমপি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান। সম্মেলনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্য শেষে কমিটি ঘোষণা করেন। মো. আমিরুল ইসলামকে সভাপতি মনোনীত করা হয়েছেন। আর মো. শামছুর রহমান ওরফে ভিপি লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
নতুন সভাপতি আইনজীবী মো. আমিরুল ইসলাম আগের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন। আর শামছুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।