মোহনগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৫১,যানবাহন-দোকানপাট ভাংচুর

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে বুধবার দুপুরে অটোরিক্সার ভাড়া ও স্ট্যান্ডের টোল আদায়ের আধিপত্য নিয়ে শহরের রেল স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্য সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫১ জন আহত হয়েছে। এসময় ভাংচুর করা হয় ১৫টি দোকানপাট, কয়েকটি যানবাহন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় আহত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিক্সা চালক হাসান মিয়া (২৮)। সে ওই উপজেলার বাকরপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানায় যায়, মোহনগঞ্জ পৌর শহরের নওহাল বাসস্টেশন থেকে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে একটি অটোরিক্সায় কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় যান। পরে অটোরিক্সার টোল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরামপুর গ্রামের এক অটোরিক্সা চালককে বড়কাশিয়া গ্রামের কয়েকজন অটোরিক্সা চালকে মারধর করে। এঘটনার খবর পেয়ে বিরামপুর গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে এসে বড়কাশিয়া গ্রামের অটোরিক্সা চালকদের মারধর করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। দুই পাশ থেকে ইট-পাটকেল ছুড়া শুরু হলে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে মোহনগঞ্জ থানার এসআই মমতাজ উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি এসএম সারোয়ার খোকন, নূরুন্নবী মিয়া, সোহাগ মিয়া, বিকাশ মিয়া, সাইদুর রহমান, শ্রাবণী আক্তার (১০), শারিক মিয়া, নূরুল আমিন, রতন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, রাব্বি মিয়া, শাহিন মিয়া, রেজাউল করিম, আলী হোসেন, রানা মিয়া, তানভীর আহমেদ,জুমন মিয়া,শাহআলম, নাজিমুল ইসলাম, আলিম পাঠান, হাসান মিয়া, আকাশ মিয়া, শহীদ আলম, মাসুম মিয়া, কিবরিয়া, জোসেফ মিয়া, বাবুল মিয়া সহ অন্তত ৫১ জনকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে আকাশ মিয়া ও জোসেফ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনার পর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের কারো সাথে কথা বরা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ৫১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫১ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ লুৎফর রহমান সংঘর্ষে অটোরিক্সা চালক হাসান মিয়া (২৮) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।