
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার বারহাট্টার উপজেলায় হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাগর মিয়াকে (১৭) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিরণ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি হিরণ মিয়া বারহাট্টা উপজেলার গাবারকান্দা (নয়নগর) গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার স্কুলছাত্র সাগর মিয়া জেলার কলমাকান্দার রামপুর গ্রামের সাহারালীর আলীর ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের বাউসি এলাকায় হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশিক উজ্জামান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের দুই নম্বর আসামি মোছা সাদিয়া আক্তার পিংকী একই বিদ্যালয় ও শ্রেণিতে পড়াশোনাকালীন সময় সাগর মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পিংকী তার সহযোগীদের চাপে পড়ে সাগরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে। পাশাপাশি সাগর মিয়াকে খুন করবে বলে কথা দেয়। এরই জেরে গত ১২ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সাগর মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার দু’দিন পর কলমাকান্দার বড়খাপন ইউনিয়নে জাঙ্গিয়ার বিলের দক্ষিণপাড়ে বেড়িবাঁধের পাশে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থা সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট কলমাকান্দা থানায় মামলা করা হয়।
আশিক উজ্জামান আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। গত শনিবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি হিরণ মিয়াকে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তাকে সোমবার সকালে কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।