বইবন্ধু পাঠাগারের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আলোচনা সভা

বিশেষ প্রতিনিধি: ‘আসুন পড়ি বই, আলোকিত হই’ প্রতিপাদ্য বাক্যকে সামনে রেখে ২০২১ সালের ৮ই অক্টোবর মাত্র পাঁচটি বই দিয়ে যাত্রা শুরু হয় বইবন্ধু পাঠাগারের। এখন পাঠাগারটিতে বইয়ের সংখ্যা দুইশত ছাড়িয়েছে। আজ পাঠাগারটির প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন হয়েছে। সকাল ১১টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। পাঠাগারটি জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের নগুয়া কুশলগাঁও গ্রামে ঢুপিখালী নদীর তীরে অবস্থিত।
কবি হাফসা ইসলাম মোহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মননশীল লেখক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, বিশেষ অতিথি জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক এম. মুখলেসুর রহমান খান, এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন অধ্যাপক হারাদন সাহা, অধ্যাপক আনোয়ার হাসান, সাংবাদিক আলপনা বেগম ও শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভালোবাসার কবি তানভীর জাহান চৌধুরী, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ ইসহাক, কবি অধ্যাপক খন্দকার ওলী উল্লাহ এবং কবি অধ্যাপক তিতাস আহমেদ, হাওরবন্ধু ইকবাল হাসানসহ প্রমুখ বক্তাগণ। তারা প্রত্যেকেই পাঠাগার নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা তরুণ কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান। কবি নির্মলেন্দু গুণ পাঠাগারটির নামকরণ করেছেন। পাঠাগারে বরেণ্য কবি তাঁর লেখা ৪৩টি বই ও পাঁচটি চেয়ারও উপহার দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান বলেন, এই বিংশ শতাব্দীর উৎকর্ষের যুগে মানুষ অনেক সভ্য। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাভাবনাই নেগেটিভ। আমাকে ক’জন বলেছিলেন, বই চুরি হয়ে যাবে। যারা বলেছিলেন, তারা কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলেনি। তাই তাদের কথা না মেনে আমি আমার সক্ষমতা মতো পাঠাগারটি করি। কিন্তু একটি বইই চুরি হয়নি। কিশোর রুদ্র (১৬) বলেন, কবি রাসেলের পাঠাগার দেখে অনুপ্রেরণা পেয়ে কয়েকদিন আগে আমিও একটি ছোট্ট পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছি।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা পাঠাগারটির অবকাঠামো নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকার, প্রশাসন ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।