নেত্রকোণার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খলিল গ্রেপ্তার

স্টাফ রির্পোটার: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবাদী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খলিলুর রহমানকে সাভার এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় এলাকায় অবৈধভাবে স্থানীয়দের আটক করে নির্যাতন, নারীদের অপহরণ, ঘরবাড়ি লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর ধ্বংস করা, স্থানীয় নারীদের ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা ও গণহত্যার করে রাজাকার খলিলুর রহমান। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার বাড়ি জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নবী হুসেনের ছেলে।

এর মধ্যে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজাকার খলিলুর রহমানকে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং একটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তিনি পলাতক ছিলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খলিলুর রহমানকে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
এ আসামির বিরুদ্ধে শুনানিতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএচ তামিম।
দুর্গাপৃর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডর সোহরাব হোসেন তালুকদার বলেন, ১৯৭১ সালের খলিল আলবদরের কমান্ডার ছিল। সে ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রীদের স্বজনদের অত্যাচার নির্যাতন করেছে। আমরা এই রায়ের পর আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সে পলাতক ছিল। আমরা তার রায় কার্যকরের দাবী জানাই।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।