মদনে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের অভিযোগ

মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদনে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার কয়েকজন কৃষক এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার প্রভাবশালী মহলটি কৃষকদের উল্টো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বাঁধ কাটা বন্ধ করে ফসলি জমি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় লোকজন ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের সামনের হাওর থেকে মাঘান ইউনিয়নের পদারকোণা গ্রাম পর্যন্ত একটি ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ওই ফসল রক্ষা বাঁধের আওতায় গোবিন্দশ্রী, কদমশ্রী, বোয়ালীর হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি রক্ষা পায়। এই ফসল রক্ষা বাঁধের পাশে নয়াবিল নামের একটি জলমহাল আছে। ওই জলমহালটি ইজারা নিয়েছেন মোনায়েম মিয়া, রোকন উদ্দিন ও সুহেল মিয়া নামের তিন ব্যক্তি। নয়াবিলের মাছ শিকারের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেন তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে বাঁধটি মেরামত করেন। কিন্তু এর পরদিন ফের বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। এ নিয়ে শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকরা। বাঁধ কাটার বিষয়টি নিয়ে কৃষকরা লিখিত অভিযোগ করায় উল্টো তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে নয়াবিলের ইজারাদার মোঃ রোকন মিয়া জানান, ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে এটা আমি ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনেছি। আমি বাঁধের পাশে যাইনি। যারা বাঁধ ভেঙ্গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রুমান জানান, আমি নিজে গিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছি। বাঁধের চার পাশে এখনো পানি রয়েছে। বাঁধের কিছু অংশ কাটা হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে তা আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।