
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২১শে আগস্ট নিহতদের স্মরণ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন। রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে নিহতদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সর্বস্তরের অংশগ্রহনের একটি শোক র্যালি পৌর শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিন শেষে উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এর সঞ্চালনায় আ‘লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌম ঝুমা তালুকদার, পৌর আ‘লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, উপজেলা আ‘লীগের সহ:সভাপতি উসমান গনি তালুকদার, এমদাদুল হক খান, শ.ম জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ, আ‘লীগ নেতা আব্দুল্লাহ হক, শফিকুল ইসলাম শফিক, বিভাস সরকার, বিপ্লব মজুমদার, ভাইসচেয়ারম্যান পারভিন আক্তার সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২০০৪সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামীলীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এ হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহত হন দলটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী) ২৪জন। আর অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনের হামলায় আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর অনেকেই গ্রেনেডের স্পিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়েই ধীরে ধীরে মৃত্যুরদিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। হাত-পা, চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফও মাথায় বিঁধে থাকা স্পিন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।