বারহাট্টায় বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ,আহত ৭

বারহাট্টা প্রতিনিধি: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোণার বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে কাশবন এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকারের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজি শাখাওয়াত হোসেনের লোকজনের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে হামলাকারীরা ওই কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল ভাংচুর ও ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা মনোরঞ্জনের সাতজন কর্মী-সমর্থককে মারধর করে আহত করেন।
এরাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ওই নির্বাচনে বারহাট্টা সদরে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বর্তমান চেয়ারম্যান কাজি শাখাওয়াত হোসন নৌকা, উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মনোরঞ্জন সরকার ঘোড়া ও আওয়ামী লীগকর্মী সোহেল রানা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। গত শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে কামবন বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকারের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালান। এসময় কর্মী-সমর্থকদের মারধর, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মনোরঞ্জন সরকার বলেন, নৌকার প্রার্থী ও তার লোকজন আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছেন। গত শুক্রবার রাতে তারা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ আমার সাতজন কর্মী-সমর্থকদের আহত করে। আহতদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। আর তৌহিদুর ইসলাম, আবদুস সালাম, পলাশসহ অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী কাজি শাখাওয়াত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি টানা দুই বারের চেয়ারম্যান। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকার ও তার লোকজন এমন মিথ্যা অপবাদ চালাচ্ছেন। আমার লোকজন কাউকে কোন মারধর বা নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুর করেননি।’
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় থানা-পুলিশকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।