অবসরপ্রাপ্ত জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানিক কুমার চক্রবর্তী আর নেই

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা পৌরশহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানিক কুমার চক্রবর্তী (৬৩) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।


অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রকোণা পৌর শহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মানিক কুমার চক্রবর্তী বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত ১২ জুলাই দুপুরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর শরীরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে ওইদিনই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। চাকুরীজীবনে তিনি চট্রগাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেটি উচ্চ শিক্ষার জন্য নিউজিল্যাণ্ডে অবস্থান করলেও সম্প্রতি দেশে এসেছে। সাংস্কৃতিমনা অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার পুগলগাঁও গ্রামে। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পারিবারিক শ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তিনি প্রথম আলোর নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তীর শ্বশুর। তাঁর মৃত্যুতে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুত্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু , নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.ফখরুজ্জামান জুয়েল, নেত্রকোণা জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান, জেলা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, জেলা উদীচীর সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান দৈনিক বাংলার নেত্রকোণার পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসাইন  সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন ওই কর্মর্কর্তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।