ক্যাটরিনার পলায়ন – রাজিব উল আহসান (রম্য গল্প)

ক্যাটরিনার পলায়ন – রাজিব উল আহসান
(রম্য গল্প)

রাতের আঁধারে ক্যাটরিনা পালিয়ে গেল। এখানে সেখানে কত খুঁজলাম। কিন্তু ক্যাটরিনাকে পেলাম না।

মহল্লায় কি একটা কেলেঙ্কারী অবস্থা! আমাদের আদরের ক্যাটরিনা পালিয়ে গেছে। সবাই ইতোমধ্যে জেনে গেছে বিষয়টা। অনেকেই হাসিঠাট্টা করছে ক্যাটরিনাকে নিয়ে।

আমি বারান্দায় বসে ক্যাটরিনাকে নিয়ে ভাবছি। ভাবি এসে বললো, শোন লাইলি, এতে নিশ্চয়ই পাশের বাসার আক্কাসের হাত আছে। বাসার গেটে আক্কাসকে অনেকবার উঁকিঝুকি দিতে দেখেছি। ছেলেটা কেমন যেন ছ্যাবলা ধরনের। সবসময় পটানোর ধান্ধায় থাকে।

আমি থতমত খেয়ে বললাম, এসব কি বলছো ভাবী। আক্কাস ভাই একটু গায়ে পড়া স্বভাবের ছেলে। তাই বলে ক্যাটরিনাকে পটিয়ে ফেলবে?

আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলে আমার আর আক্কাস ভাইয়ের ব্যাপারটা কিছুতেই বাসার কেও মেনে নিচ্ছে না। তাই সবাই বেচারার দোষ খুঁজে।

এদিকে সন্ধ্যা থেকে রাত বাড়ছে। বাবার অস্থিরতাও বাড়ছে।
আমি বললাম, বাবা চলেন থানায় যাই। কিন্তু বাবা মানইজ্জতের ভয়ে রাজি হলেন না।

আমি ভেবে দেখলাম, মান ইজ্জতের কথা এখন ভাবার সময় নয়। যা করার রাত শেষের আগেই করতে হবে। সকালে যদি ক্যাটরিনাকে না পাওয়া যায় তাহলে কি যে কেলেঙ্কারী হবে, তার কি আর হিসেব আছে?

আমি আম্মাকে রাজি করিয়ে ফেললাম। আমরা দুজনে থানায় গেলাম মামলা করতে। ক্যাটরিনার হারানোর কথা বললাম। ওসি সাহেব বললেন হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাইকিং করতে হবে। এজন্য ক্যাটরিনার একটা ছবি লাগবে। প্লিজ দ্রুত একটা ছবি দিন। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ছবির কথা শুনেই আমার কেমন যেন উসখুস লাগছে। ভাবীর ফেসবুক ওয়াল থেকে ক্যাটরিনার সাথে ভাবীর সেলফিটা নামালাম। আজ বিকেলেই ভাবি পোস্ট করেছিল। সাথে সাথেই লাইক আর কমেন্টের বন্যা। অথচ এই ছবিটাই এত কাজে লাগবে তা কখনো ভাবি নি।

আমি ওসি সাহেবের মেইলে ছবি পাঠালাম। মেইল ওপেন করে ওসি সাহেব বললেন, এই ভদ্রমহিলাই তাহলে ক্যাটরিনা?

আমি আমতা আমতা করে বলি,

না। উনি না। উনি আমার ভাবি।

তাহলে? ক্যাটরিনা কে?

না মানে, উনার পাশে যে গরুটা দেখছেন, ওটার নাম ক্যাটরিনা।

হোয়াট?

জি। ক্যাটরিনা আমাদের কোরবানীর গরু। কাল সকালেই ওকে কোরবানী দেবার কথা। প্লিজ একটু খুঁজে দেন!

আমার কথা শুনে ওসি সাহেব প্রচন্ড ধাক্কা খেলেন। পাংশু দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন তিনি।

ওসি সাহেবের মত এরকম ধাক্কা আমিও খেয়েছিলাম। দুপুরে যখন অনলাইনে গরু কিনছিলাম, ঠিক তখন।

গত দুদিন ধরে আব্বা মাথা খারাপ করে ফেলেছে। হাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেন নি। আজ শেষ হাট। আজ কিনতে না পারলে কোরবানীটাই দিতে পারবে না। তাই সবার উপর রাগ ঝাড়ছিলেন।

আমি বললাম, আমার উপর রাগ ঝাড়ছো কেন? আমি কি ভীড় ঠেলে হাটে যেতে পারি?

আব্বার বকাবকি শুনে মনটা খারাপ ছিল। রুমে এসে রিলাক্স হবার জন্য অনলাইনে ঢুকলাম। অনলাইনে ড্রেস ওর্ডার দেবার জন্য একটা পরিচিত পোর্টালে সার্চ দিলাম। সার্চ দিতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ। সেই পোর্টালে কোন ঈদের পোষাক নেই। আছে কোরবানীর গরুর বিভিন্ন ক্যাটালগ।

আমি ম্যাসেঞ্জারে নক করলাম। লিখলাম, ভাইয়া, একটা ড্রেসদেখেছিলাম। লাল কাতানের উপর জরির কারচুপী করা। ওর্ডার করতে চাই।

জবাবা এলো, না আপু এখন জামার অর্ডার নেয়া হবে না। আমরা এখন অনলাইনে কোরবানীর গরু বিক্রি করছি।

‘গরুর ব্যবসা’?

‘জি। পোষাকের বিজনেসে এবার বেচা বিক্রি কম। তাই শিফট করলাম’!

‘ইন্টারেস্টিং’!

‘জি আপু। ইন্টারেস্টিং। আপনার গরু লাগলে স্যাম্পল দেখাতে পারি’।

লোকটার কথা শুনে আব্বার কথা মনে পড়লো। আব্বাকে হেল্প করার ইচ্ছেটা ছিল। তাই কিছুটা কৌতূলহবশত স্যাম্পল দেখতে চাইলাম।

‘কী ধরনের গরু চান আপু?

‘কী ধরনের মানে?

‘সব ধরনের গরু পাবেন’।

‘আমার তেমন আইডিয়া নেই। তবে ভালো গরু দেখান। কোরবানীর জন্য’।

‘জি, তাহলে দেবদাস,ক্যাটরিনা, শীলা, মুন্নি, এঞ্জেলিনা, শাহরুখ, ময়ুরি এগুলো দেখতে পারেন’!

‘মানে কি? এসব কি বলছেন’?

‘এগুলো গরুর নাম আপা। একেবারে লেটেস্ট মডেলের গরু’।

‘বলেন কী এসব’?

‘কেন আপা! ঐশ্বরিয়া, শিলা, মুন্নি, পাখি, দেবদাস নামে যদি ড্রেস হতে পারে তবে গরুর নামে সমস্যা কি’?

‘ও মাই গড। তাই বলে এসব নামে গরু’?

‘কি অবাক হইলেন? আমরা বিক্রেতা। কাস্টমার কিভাবে ধরতে হয় তা জানা আছে’!

‘ওকে! তবে কিছুটা অবাক হলাম’।

‘অবাক হয়েন না আপা। চাইলে সানি লিউন ভি দিবার পারমু। তবে রেট একটু বেশি পড়বো’।

‘না না না সানি লিউনের দরকার নাই’।

‘তাহলে কোনটা দেখাবো? আরো আছে।

‘কি আছে’?

‘এই যেমন সুলতান সুলেমান, হুররম সুলতান, ট্রাম্প, টমক্রুজ আর….

‘স্টপ, স্টপ’।

‘ আরে স্টপ বললে কিনবেন কিভাবে? ড্রেস কিনতে গেলে একশোটা দেখেন। তাহলে গরুর বেলায় দেখবেন না কেন’?

আমি বললাম, আচ্ছা দেখি। একটু ওয়েট করুন প্লিজ। আমি আসছি।

এটুকু লিখে ম্যেসেঞ্জারে টেক্সট সেন্ড করে বাবার কাছে এলাম। বাবা আর ভাইয়া হাটে যাবার জন্য রেডি হয়েছেন।

আনলাইনে হাটের বিষয়টা সবাইকে খুলে বললাম। আধ ঘন্টা ধরে সবাইকে বুঝিয়ে আমরা সবাই অনলাইনে বসলাম। আমাদের সবার চোখ এবার ল্যাপটপের স্ক্রিনে।

লোকটা একটা একটা করে গরু দেখাচ্ছে। বাবা চুলচেরা বিশ্লেষনে সবকিছু পরখ করে নিচ্ছেন। কিন্তু ডিসিশন নিতে গিয়ে ঝামেলা লাগলো।

ভাইয়া পছন্দ করলো শাহরুখ খানকে। আম্মা বললো, ওসব শাহরুখ – টাহরুখ দরকার নাই। গরু আনতে চাইলে হুররম’ কে আনো। বেটি অনেক বদমায়েশি করে। এবার বুঝবে কত ধানে কত চাল।

কিন্তু আব্বা কোন মতামত দিলেন না। তবে আব্বার চোখ বারবার সানি লিউনের দিকে আটকে যাচ্ছিলো!

আমি আর ভাবি পছন্দ করলাম ক্যাটরিনাকে। বললাম, তোমরা তো প্রতিবার হাটে গিয়ে নিজেরা পছন্দ করে গরু কিনো। এবার যেহেতু আমাদের পছন্দ করার সুযোগ আছে তাই আমাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। শেষমেশ আমি আর ভাবি মিলে ক্যাটরিনাকে ফাইনাল করলাম।

এক ঘন্টার মধ্যেই আমাদের বাসার সিড়ি ঘর ক্যাটরিনার হাম্বা হাম্বা চিৎকারে মুখরিত হয়ে উঠলো।

কিন্তু সন্ধ্যার দিকে হাম্বা হাম্বা ডাক থেমে গেল। একটুপর টের পেলাম ক্যাটরিনা পালিয়েছে।

তারপর গেলাম থানায়। থানা থেকে ফিরে দেখি ক্যাটরিনার কোন খবর নাই। বাসা সুনসান পড়ে আছে। সবার মন খারাপ।

এবার আমি ভাবির সাথে পরামর্শে বসলাম। দুজন পরামর্শ করে গরুওয়ালাকে ম্যাসেঞ্জারে আবার নক করলাম। নক করার সাথে সাথেই সে রিপ্লাই দিল।

স্লামালাইকুম আপা।

ওয়ালাইকুম আসসালাম।

গরু কি আরো লাগবে?

না ভাই আর লাগবে না।

তাইলে নক দিলেন কেন?

ভাই একটা সমস্যা হয়েছে।

কি?

আমাদের ক্যাটরিনাকে পাচ্ছি না।

কি বলছেন? চুরি হয়েছে? নাকি পালিয়ে গেছে?

জানি না।

প্রবলেম নাই আপা! এক্ষুনি সার্চ দিচ্ছি। খুঁজে বের করছি।
পাঁচ মিনিটের ব্যাপার।

পাঁচ মিনিট? কিভাবে?

জি আপা। গরুর কানে জিপিএস লাগানো আছে। চিন্তা কইরেন না। এক্ষুনি বের হবে।

ঠিক তিন মিনিটের মাথায় আবার নক করলো।

আপা, ক্যাটরিনা আছে মোহাম্মদপুরে।

সত্যি! কিন্তু মোহাম্মদপুরের কোথায়?

আট নম্বার সেকশনে?

তাই নাকি। আট নাম্বার সেকশনেই তো আমরা থাকি। এখানেই আমাদের বাসা।

জি। তার মানে ক্যাটরিনা পালিয়ে বেশিদূর যেতে পারে নি। একটু খুঁজলেই পাবেন আশাকরি।

লোকটা জিপিআরএসের লিংকটা আমাকে পাঠিয়ে দিল। গুগল ম্যাপ নিয়ে আমি আর ভাবি বসে গেলাম। নিজেদের সিআইডি মনে হচ্ছে। ম্যাপে দেখাচ্ছে ক্যাটরিনার অবস্থান। সে খুব বেশি দূরে না। একশো মিটারের মধ্যেই ক্যাটরিনা আছে।

এদিকে কাল ঈদ। আর আমরা গরু খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমি আর ভাবি গুগল ম্যাপ দেখে দেখে এঁকেবেঁকে এগুচ্ছি। শেষে
যে বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম তাতে আমিতো আবাক! আরে এটাতো আক্কাস ভাইদের বাসা।

আমরা আরো একটু ঘেটে ঘুটে নিশ্চিত হলাম ক্যাটরিনা আক্কাস ভাইদের বাসায় আছে।

ভাবি বললো, ছি ছি ছি ছি লাইলি। তুমি এই আক্কাসের সাথে প্রেম কর। এই আক্কাস হলো বিশাল রোমিও। মেয়ে পটাতে ওস্তাদ। কিন্তু গরু চোর তাতো জানতাম না?

আমিও মনে মনে অবাক হলাম। আর লজ্জা পেলাম খুব। আক্কাস ভাই কেন গরুটা চুরি করতে গেল। ছিঃ

ঠিক তখনি গেট দিয়ে আক্কাস ভাই বের হয়ে এলেন। আমাদেরকে গেটে দেখে ত্যালত্যালা মার্কা একটা হাসি দিল।
আমি রাগি চোখে বললাম,

আমাদের ক্যাটরিনা কই?

ক্যাটরিনা? কিসের ক্যাটরিনা?

হুম, আমাদের গরু। কই লুকিয়ে রেখেছেন? জলদি বের করে দেন? নইলে থানা পুলিশ হবে কিন্তু। গরু চোর কোথাকার!

আরে তোমাদের ক্যাটরিনাকে আমরা চুরি করবো কেন? “ইমরান হাসমি” থাকতে তোমাদের গরু দিয়ে কি করবো?

ইমরান হাসমি?

হুম, আমাদের কুরবানীর গরু। দুই লাখ টাকায় অনলাইনে কিনছি! আব্বা পছন্দ করে কিনেছে।

কই? আপনাদের ইমরান হাসমি কই? এই দেখেন জিপিএস। ক্যাটরিনা আপনাদের বাসায়।

দেখি দেখি! খাইছে। আমাদের বাসাতেই তো দেখছি।

আপনার ইমরান হাসমি আমাদের ভোলাভালা ক্যাটরিনাকে পটায়ে আনছে।

কি বললা? শোন ইমরান হাসমি ভোলাইতে যাবে কেন? তোমাদের ক্যাটরিনাই মনে হয় ভাইগা আসছে।

ভাবি বিড়বিড় করে বলেলেন, দেখছো লাইলি, যেমন বাপ, তেমন তার ছেলে, তেমন তাদের গরু। ইমরান হাশমি! একদিনেই ক্যাটরিনাকে ভাগায়ে আনছে! কত্ত বড় লায়েক।

এসব তর্ক বিতর্ক করতে করতেই আমরা আক্কাস ভাইদের বাসার পেছনে আসলাম। দেখলাম ক্যাটরিনা কাঁঠাল পাতা চিবাচ্ছে। পাশে ইমরান হাসমি কেমন মাদকতা নিয়ে তাকিয়ে আছে ক্যাটরিনার মুখের দিকে।

ভাবি দৌড়ে গিয়ে ক্যাটরিনাকে জড়িয়ে ধরলো। পরক্ষণেই আবার দৌড়ে এসে আমাকে মোবাইলটা দিয়ে বললো, লাইলি, ভিডিও কর। আমি ভিডিও অন করে দেখি ভাবি ক্যাটরিনাকে জড়িয়ে ধরে নাঁকি কান্না কাঁদছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না। এই ভিডিও দিয়ে ভাবি ফেসবুকে পোস্ট দিবেন। আজ হাজার হাজার লাইক কমেন্ট কুড়াবেন।

কিন্তু আমি বুঝলে কি হবে, ইমরান হাশমি বুঝে নি। ক্যাটরিনার সাথে ভাবির মাখামাখি সে কিভাবে সহ্য করে? রাগে কটমট করে ভাবিকে গুতাতে গেল। ভাগ্যিস আক্কাস ভাই সময়মত দেখতে পেয়েছিল। ড্রাইভ দিয়ে ভাবিকে সরিয়ে নিল। ভাবি আক্কাস ভায়ের কান্ড দেখে অভিভূত হয়ে গেল। ভাবির নরম মন দেখে আমিও সুযোগ নিলাম।

বললাম, ভাবি আক্কাস ভাই অনেক ভালো ছেলে। খুব কেয়ারিং। আমাদের দুজনের ব্যাপারটা একটু দেখবা কিন্তু!

ভাবি মুচকি হাসি দিয়ে সায় দিল।

আমাদের আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে আংকেল বের হয়ে এলেন। ক্যাটরিনার পলায়নের ঘটনা শুনে তিনিও হাসতে থাকেন। ক্যাটরিনার দড়ি খুলে আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর আমরা ক্যাটরিনাকে নিয়ে রওনা দিলাম।

যাবার আগে আমি বললাম, ঈদ মোবারক আংকেল। কাল কিন্তু বাসায় আসবেন!

আংকেম মুখ মলিন করে বললেন, আমার আবার ঈদ? ডাইবেটিকস আর হাই প্রেসারে জীবনের সব আনন্দই মাটি। এছাড়া আজকাল বাইরেও খুব একটা যাই না।

আমি দেখলাম এই তো সুযোগ। এ সুযোগে আংকেলকে হাত করতে হবে। বললাম, কিছু মনে না করলে কাল কিছু রান্না করা মাংস পাঠাই? আমি নিজের হাতে রান্না করবো।

আমার কথা শুনে আংকেল যেন আনন্দে গলে গেলেন। হাসি হাসিমুখ নিয়ে বললেন, মাংস পাঠাবা? কিন্তু গরুর মাংস আমার জন্য একেবারে হারাম পর্যায়ের।

তাহলে?

আচ্ছা এত করে যখন বলতেছে, পাঠাইও। কুরবানির মাংস বলে কথা? এক দুই পিস না মুখে দিলে চলে!

আংকেল কাঁচুমাচু হয়ে বলতে থাকেন।

আমি আংকেলের মনের ভাষা বুঝতে পারি, বলি, ‘আপনার কোন মাংস পছন্দ আংকেল? কলিজা, সিনা নাকি রানের মাংস’ ?

আংকেল মুখে তৃপ্তির হাসি হেসে বলেন, ‘পাঠাবাই যদি তবে সীনার মাংস পাঠাইও।
ক্যাটরিনার সীনা বলে কথা।
একটা বিষয় আছে না’!

এই বলে আংকেল হাসতে থাকেন।

আংকেলের চোখে পরিচিত সেই মদকতার হাসি। একটু আগেই যা ইমরান হাশমির চোখেমুখে দেখেছিলাম। তা যেন অজান্তেই ঠায় নিয়েছে আংকেলের চোখে।

——-

রাজিব উল আহসান

(গল্পের সব চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক।)

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।