নেত্রকোণা মাতাচ্ছে ২৭ ইঞ্চি উচ্চতার ষাঁড় মেসি

বিশেষ প্রতিনিধি: মেসির উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি ! লম্বা ২৪ ইঞ্চি, বয়স ৪ বছর আর ওজন সাইত্রিশ কেজি। দেখতে খর্বাকৃতির হলে কি হবে মেসির মতোই তার ক্ষিপ্র গতি। তাই মালিক শখ করে খর্বাকৃতির ওই ষাঁড়ের নাম রেখেছেন মেসি! আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ মেসিকে দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন। এরি মধ্যে দামও উঠেছে চার লাখ টাকা। কিন্তু মালিক মেসিকে ছাড়ছেন না তার মালিক। মূল্য ১০ থেকে বারো লাখ হলে ছেড়ে দেবেন ক্ষুদে মেসিকে।মালিকের দাবী, চার বছর বয়সের এটাই দেশের সবচেয়ে ছোট্ট ষাঁড়।
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের আজিজুর রহমান। পেশায় সরকারী চাকুরীজীবি। কিন্তু গবাদি পশু সহ পশু পাখি পালন শখ তার। তাই বছর খানেক আগে শখের বশে ৩ বছর বয়সের এই ষাঁড়টি কিনে আনেন তিনি। ক্ষিপ্র গতির বলে নাম রেখেছেন মেসি। স্থানীয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদ্পরের মেলায় মেসির নাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। এরিমধ্যে দাম উঠেছে চার লাখ টাকা।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের মেসির মালিক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি খালিয়াজুরীতে সরকারী চাকুরী করি। সেখানে আসা-যাওয়ার ওই খর্বাকৃতি ষাঁড় গরুটির সন্ধান পাই। এটির মালিক ছিল একজন কৃষক। তার গাভিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বীজ দেওয়ার পর এই খর্বাকৃতির ষাঁড়টির জন্ম হয়। আমি প্রায় এক বছর আগে তার কাচ থেকে ষাঁড়টি তিনে আনি। এটির চালচলন দেখে, তার নাম দিই মেসি।এলাকার সবাই দেখতে আসে,এটা ভালো লাগে। বিছুদিন আগে মেলায় তুলে ছিলাম। তখন দাম হয় চার লাখ টাকা।তিনি আরো বলেন, মেসির উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি ! লম্বা ২৪ ইঞ্চি, বয়স ৪ বছর আর ওজন সাইত্রিশ কেজি। চার বছর বয়সের এটাই দেশের সবচেয়ে ছোট্ট ষাঁড়।’ ওজন আকারে ছোট হলেও মেসির দাম ওঠেছে ৪ লাখ টাকা। ১০ লাখ হলে শখের মেসিকে ছেড়ে দেবেন বলে জানান এর মালিক।


এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমেদ,রবিকুল ইসলাম ও লিটন মিয়া বলেন, দিন দিন মেসিকে দেখতে লোকজন এসে ভীড় করছে। প্রতিদিন শতাধিক লোক মেসিকে দেখতে আসে। আমরা আনন্দ পাই। গরুটি আকারে ছোট্র হলেও দৌড়ে সেরা। তাই ফুটবল খোলোয়াড় মেসির নামে নাম রাখা হয়েছে মেসি। এই মেসিকে দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন শতশত মানুষ। দেখতে ছোট আকৃতি। অনেকটা বড় ছাগলের মতো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠায় চাহিদা রয়েছে মেসির।
স্থানীয় খামার মালিক মাহবুব আলম বলেন, আমার গরুর খামার আছে, সেখানে অনেক ষাঁড় ও গাভি আছে। তাই মেসিকে দেখার পর থেকেই কিনতে চাইছি। কিন্তু এর মালিক বিক্রি করতে চাইছে না। দাম যতই হোক মেসিকে আমার খামাওে নিতে চাই।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: খুরশেদ দেলোয়ার বলেন, ‘গরুটির মা-বাবা বড় আকারের হলেও জেনিটিক কারণে এটি ছোট হতে পারে। আকারে ব্যতিক্রম হওয়ায় এর চাহিদা বেশি রয়েছে। আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখি। খর্বাকৃতির ষাঁড়টি আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিসের মেলায় তোলার পর থেকেই এটির বিষয়ে স্থানীয়রা জানতে পেরেছে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।