নেত্রকোণায় বজ্রপাতে শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু আহত ৯

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার ৪ উপজেলায় মঙ্গলবার পৌনে তিনটার দিকে বজ্রপাতে আট জনের মৃত্য হয়েছে। এরমধ্যে খালিয়াজুরীতে ৩, কেন্দুয়া ২ মদনে ২ জন ও পূর্বধলা উপজেলায় ১ শিশু মারা গেছে। এছাড়া ওই সময় খালিয়াজুরীতে ৫ জন ও মদন উপজেলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। তারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫) বজ্রপাতে মারা যান। মঙ্গলবার দুপুরে কৃষক বায়েজিদ মিয়া ও ফজলুর রহমান তাদের নিজ নিজ বাড়ির সামনে সবজি খেত ও ধান খেতে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এক পযায়ে বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পিয়াস পাল তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২) একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তারা ওই এলাকার বরবরিয়া হাওরে কাজ করছিলেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। আহতদের খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ(১৮) ও মৃত একই গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর(২১) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় বজ্রপাতে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন(১৫) রুমান (১৮) ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা(৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হয়। আহতদেরকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে বৃষ্টি শুরু মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের পিছনে পতিত জমিতে কিশোররা ফুটবল খেলতে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে শরীফ ও আতাবুর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত রুমান ও রবিন কে স্থানীয়রা মদন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ দিকে তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের কণা আক্তার ও সুরমা নামের দুই নারী আহত হয়।
এদিকে পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে জুনাইদ (৮) নামের এক শিশু বাড়িরপাশে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। বিষয়টি পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহতদের পরিবারকে ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।