নেত্রকোণায় চুরির অপবাদে নির্যাতনের শিকার সেই ভিক্ষুক জামিনে মুক্ত

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় ধান চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের পর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই ভিক্ষুক আবদুল মালেককে (৫৫) আদালত জামিন দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শাহাদাত হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে তাকে বেঁধে নির্যাতন করা যুবক মাসুদ মিয়াকে (৩৮) কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবদুর রহমান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধান চুরির অপবাদ দিয়ে ভিক্ষুক আবদুল বারেককে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে। মারধরের পর ওই ব্যক্তিকে চোর আখ্যা দিয়ে উল্টো থানায় এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই যুবককে ওই দিন গভীর রাতে আটক করে।
বুধবার সন্ধ্যায় মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের বারোগরি পূর্বহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল বারেক ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনহাটি গ্রামের বাসিন্দা। বারেক গত কয়েক বছর ধরে বোরো ধান কাটার মৌসুমে মদনের গোবিন্দশ্রী এলাকায় এসে হাওরাঞ্চলের পাড়ায় পাড়ায় ধান ভিক্ষা করেন। আর অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া বারোগরি পূর্বহাটি গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
আবদুল বারেককে নির্যাতন করার অভিযোগে বারেকের ছেলে আজিজুল মিয়া মাসুদ মিয়াকে আসামি করে সন্ধ্যায় পাল্টা মামলা করেন। পরে পুলিশ উভয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতে আদালতে সোপর্দ করে। এ নিয়ে সর্বশেষ যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ‘বয়স্ক ভিক্ষুককে বেঁধে নির্যাতন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।