পূর্বধলায় স্কুলছাত্রকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী এলাকাবাসীর

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আল মামুনের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে তার সহপাঠি, অভিভাবক, গ্রামবাসীসহ সহস্্রাধিক লোকজন অংশ নেয়।
পুলিশ নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, পূর্বধলা উপজেলার দক্ষিণ কাজলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আল মামুনের মরদেহ ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মামুন নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের তৃতীয় তলায় ঝুলিয়ে রাখা হয়।
পূর্বধলার কাজলা গ্রামবাসীর উদ্যোগে সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য সানাউল হক মোহন, নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল মান্নান, মা নার্গিস আক্তার, ভাই শামীম মিয়া, জহির মুন্সি, সোলায়মান হোসেন হাসিম সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল মান্নান, মা নার্গিস আক্তার, ভাই শামীম মিয়া বলেন, ‘মামুনকে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে মোবাইল ফোনে কে কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। রাতে অনেক খোঁজাখোঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে বাড়ির পাশে নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন তিন তলা ভবনের ছাদে আধা ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। মেরে তার লাশ ঝুঁলিয়ে রেখেছে। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি।’
নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘আল মামুন দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছিল। ক্লাসে সে প্রথম হয়েছিল। মেধাবী এই ছাত্রকে কেবা কারা মেরে বিদ্যালয়ের ভবনে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে দায়িদের আইনের আওতায় আনতে হবে। নয়তো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আতংকে থাকবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সানাউল হক মোহন জানান, এলাকায় এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এর সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট এলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।