নেত্রকোণায় স্বাস্থ্যকর্মীকে আ.লীগ নেতার মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: সরকারি দায়িত্ব পালনকালে এক নারী স্বাস্থ্য সহকারীকে আওয়ামী লীগের নেতার মারধরের প্রতিবাদে ও অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নেত্রকোণায় মানববন্ধন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে হেলথ এসিস্টেন্ট এসোসিয়েশন জেলা শাখার উদ্েযাগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম শেখ নূর মোহাম্মদ। তিনি আটপাড়ার স্বরমশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রূপচন্দ্রপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর মারধরের শিকার ওই স্বাস্থ্যকর্মী হলেন, সুরাইয়া আক্তার। তিনি আটপাড়ায় কর্মরত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এইচ এম রাব্বীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুখশেদুর রহমান খানের পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সহসভাপতি খানে সবুর খান, তারিকুজ্জামান রিপন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এ টি এম এ রাজ্জাক, ইপিআই সুপার মজিবুর রহমান, আটপাড়ার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শঙ্কর কুমার প্রমুখ।
আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী রূপচন্দ্রপুর গ্রামের পূর্বপাড়া খাঁ বাড়িতে গত মঙ্গলবার শিশুদের হামরুবেলা টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাপ্তরিক অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি সেখানে যেতে পারেননি। পরদিন গত বুধবার তিনি ওই বাড়িতে টিকা দিতে গেলে শেখ নূর মোহাম্মদ তাঁকে বাধা দেন। একই সঙ্গে কেন আগের দিন আসতে পারেননি, তা জানতে চেয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। সুরাইয়া এই খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করায় নূর মোহাম্মদ উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেন। এ সময় সুরাইয়ার সঙ্গে থাকা সহকারী ফয়জুর রহমান বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে সুরাইয়া বিষয়টি আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানান। ঘটনায় ওই দিন রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ বাদী হয়ে ওই নেতার নামে থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ নূর মোহাম্মদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল বলেন, মামলার অভিযুক্ত আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।