কলমাকান্দায় দুর্ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণের দাবিতে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকন্দায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ খানের (৮৪) নামে একটি রাস্তার নামকরণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এর আগে ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার দুপুরে পাগলা বাজার এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কৈলাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য দুর্জয় আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও নিহত সুলতান আহমেদের ছেলে আতাউর রহমান খান, আরেক ছেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কৈলাটি ইউন্নি আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সিধলী পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে পাগলা বাজারের সড়কের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদের নামে পাবই-সিধলী প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কটি নামকরণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। এতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় তিন সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুলতান আহমেদ খান গত বুধবার বিকেলে কলমাকান্দার পাগলা বাজারে নিজ বাসার সামনে হাঁটছিলেন। এ সময় একটি ইজিবাইক তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় ও শরীরে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সর্বশেষ ওই দিন রাতে ঢাকায় নিউরো সাইয়েন্স হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আইসিউ খালি না থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার ভোরে মারা যান।
সুলতান আহমেদ খান উপজেলার কনুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কৈলটি ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমদ খানকে যে ইজিবাইকটি চাপা দিয়েছিল সেটির চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ বছরের এক কিশোর। ঘটনার পর তাকে আটক করা হয়। কিন্তু নিহতের স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অপ্রাপ্ত বয়ষ্করা যাতে সড়কে কোন ধরনের যান বাহন চলাতে না পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।